Tuesday, November 30, 2021

ইহুদীরা তিনটি জিনিষকে গুরুত্ব দেয়

 


ইহুদীরা তিনটি জিনিষকে গুরুত্ব দেয়

এম এ রাজ্জাক হাওলাদার

ইহুদীরা হিসেব নিকেষ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ৩টি জিনিষকে গুরুত্ব দিতে পারলে গোটা পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ জন্যই তারা ৩টি বিষয়ের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

১. Knowledge (জ্ঞান) জ্ঞান চর্চাকে তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে। শতকরা ৮৫ ভাগ নাকি তারা ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া। সারা বিশ্ব থেকে সেরা মেধাবীদের তারা চাকুরী দেয়ার নামে উচ্চমূল্যে তাদের মেধা কিনে নেয়। অথচ ইসলামে জ্ঞান চর্চাকে সকল মুসলমানের জন্য "ফরযে আইন" বলা হয়েছে,

 طلب العلم فريضة علي كل مسلم (ইবনে মাযা-২২৪, মিশকাত-২১৮)

মুসলিম জাতির পন্ডিত হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) বলেছেন,

تدارس العلم ساعة من الليل خير من احياءها

রাতের সামান্য একটু সময় জ্ঞান চর্চা করা সারা রাত জেগে জেগে নফল ইবাদত করার চেয়েও অনেক উত্তম (দারিমি-২৬৪, মিশকাত-২৫৬) (দূর্বল হাদীস, সাহাবীর উক্তি বা মাওকুফ হাদীস)

আমরা এ ক্ষেত্রে অনেক খানি পিছিয়ে আর তারা এগিয়ে। এখন আমরা প্রায় মূর্খের জাতি। আফসোস!

২. Money (অর্থ) বিশ্বের সবচেয়ে ধনাঢ্য পরিবার হলো ইহুদী পরিবার "রথ চাইল্ড" পরিবার। সুদী কারবার আর ব্যাংকিং ব্যবসার মাধ্যমে এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবার। (Daily Bangladesh, June 5, 2018)

ইসলাম অচ্ছলতাকে অপছন্দ করেছে আর সচ্ছলতাকে পছন্দ করেছে। রাসূল (সা:) দুআ করেছেন و اغننا من الفقر (আমাদেরকে দারিদ্র্যতা থেকে ধনী বানাও (সচ্ছলতা দাও) [মুসলিম-৬৭৮২] অন্য হাদীসে এসেছে এভাবে দুআ করেছেন প্রিয় নবী (সা:) اللهم اني اعوذبك من الفقر و اعوذبك من القلة (হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে মুক্তি চাই দারিদ্র্যতা থেকে আরো মুক্তি চাই সম্পদের স্বল্পতা থেকে) (নাসায়ী-৫৪৬০,৬১,৬৩,৬৪; আবূ দাউদ-১৫৪৪,৫০৫১; তিরমিজী-৩৪০০,৩৪৮১; ইবনে মাযা- ৩৮৩১,৩৮৪২,৩৮৭৩)

এখানেও আমরা ইহুদীদের থেকে অনেক পিছনে। মুসলমানরা এখন অনেকখানি ফকীরের জাতের মতো। বিজাতির সাহায্যের দিকে তাকিয়ে থাকি।

৩. Time (সময়) ইহুদীরা নাকি চাকুরী দিতে পছন্দ করে। চাকুরী করতে পছন্দ করেনা। কারণ এর মাধ্যমে অন্যের সময় কিনে নিয়ে নিজেদের কাজে ব্যবহার করা যায়। সময় আমাদের কাছে এক মূল্যহীন জিনিষ। অথচ সময় মহামূল্যবান বলেই আল্লাহ তায়ালা আল-কুরআনে বিভিন্ন সময়ের কসম খেয়েছেন/সময়ের নামে কয়েকটি সূরা নাযিল করেছেন:

১. الفجر- আল ফযর (ফযরের সময়ের কসম) এ নামে সুরাও আছে।

২. الضحي- আয যুহা বা আদ-দুহা (দ্বি প্রহরের কসম) এ নামেও সূরা আছে।

৩. النهار- আন নাহার (দিবসের কসম)।

৪. العصر- আল আসর (বিকেলের কসম) এ নামেও সূরা আছে।

৫. الليل- আল লাইল (রাতের কসম) এ নামেও সূরা আছে।

গোটা দুনিয়াকে তারা ছোট্ট ক্রিকেটের "বল" অথবা "ফুটবল "এর পিছনে মত্ত করে রেখে ঘণ্টার পর ঘন্টা নষ্ট করে দিচ্ছে। তারা কেন কোন খেলাতে কোন নম্বরেই নেই? ভেবে দেখেছি কি? গবেষণা করে বিজ্ঞ গবেষক/পাঠক জানালে খুশী হতাম। বরং মনে হয় গোটা দুনিয়াকে "বল" মনে করে সে বল নিয়ে খেলতে কি মজা! উপভোগ করছে।

আজ তারা খেলছে আনন্দে, উল্লাসে। আমরা বল হিসেবে তাদের লাথি খেয়ে এদিক সেদিক গড়াগড়ি খাচ্ছি আর চিৎকার দিচ্ছি আরে আমারে লাথি দিল! কি কষ্ট!! তাইনা ? ----------

No comments:

Post a Comment

razzakhowlader59@gmil.com