দায়েমি(সার্বক্ষণিক)ফরজ সমূহ
-এম এ রাজ্জাক হাওলাদার
দায়েমি ফরজ অর্থ: এমন ফরজ যা প্রতিনিয়ত, প্রতিদিন এবং সার্বক্ষণিক ভাবে পালন করা আবশ্যক। নারী-পুরুষের প্রকৃতি ও সৃষ্টিগত কিছু পার্থক্য ছাড়া উভয়ের উপর অবশ্য পালনীয় ফরজ বিধানগুলো প্রায় একই রকম।
নিম্নে কুরআন-হাদিসের নির্যাস থেকে উভয়ের
জন্য আলাদা আলাদাভাবে কতিপয় সার্বক্ষণিক পালনীয় ফরজ কাজ তুলে ধরা হলো:
❑ দায়েমি ফরজ পুরুষদের জন্য: ১৮টি যেমন:
১. সার্বক্ষণিক ঈমানের অবস্থায় থাকা।
২. সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ভয় করা।
৩. সর্বাবস্থায় শিরক, বিদআত এবং সব ধরণের আল্লাহর নাফরমানি ও
পাপাচার থেকে দূরে থাকা।
৪. পরনারী থেকে দৃষ্টি হেফাজত করা।
৫. হালাল স্ত্রী ছাড়া লজ্জা স্থান হেফাজত
করা।
৬. স্ত্রী-সন্তানদের হক আদায় করা এবং
যথাসাধ্য ভালোভাবে তাদের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করা।
৭. হালাল পন্থায় অর্থ উপার্জন করা (অর্থ
উপার্জনে সব ধরণের হারাম পন্থা পরিহার করা)।
৮. স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিকে অন্যায় কাজ করতে
দেখলে বা এ সম্পর্কে অবগত হলে তাদেরকে বাধা দেয়া, তাদেরকে দীনের সঠিক জ্ঞান দান করা ও ইসলামের
উপর প্রতিপালন করা। স্ত্রী অন্যায়-পাপাচারে জড়িত থাকলে তাকে নসিহত করা। এতে কাজ না
হলে তার বিরুদ্ধে শরিয়ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৯. মানুষের সাথে সুন্দর আচরণ করা, ভালো কথা বলা অথবা চুপ থাকা এবং গিবত, চুগলখোরি, গালাগালি, অশ্লীল ও নোংরা কথাবার্তা, মিথ্যা কথা, মিথ্যা সাক্ষ্য, কারও মৃত্যুতে বিলাপ করা ইত্যাদি থেকে বিরত
থাকা।
১০. সর্বাবস্থায় আল্লাহ, রাসূল ও দীনের প্রতি ভালবাসা অটুট রাখা।
১১. স্ত্রী সহবাস, স্বপ্নদোষ বা অন্য কোনও কারণে গোসল ফরজ হলে
গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা।
◈ ১২. পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, রমজান মাসে রোজা এবং অন্যান্য ফরজ ইবাদতগুলো
যথা সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে আদায় করা।
১৩. দাড়ি রাখা (দাড়ি কাটা, ছাঁটা,মুণ্ডন করা হারাম)।
১৪. নিজের শরীরে হক আদায়ের পাশাপাশি
পিতা-মাতার আনুগত্য (যদি তা আল্লাহর নাফরমানি ও সাধ্যাতিরিক্ত না হয়) এবং
মুসলিমদের পারস্পারিক হক সমূহ আদায় করা।
১৫. দীন সম্পর্কে কমপক্ষে এতটুকু জ্ঞান
অন্বেষণ করা যা দ্বারা দৈনন্দিন ফরজ ইবাদত সমূহ সুন্দরভাবে সম্পাদন করা করা সম্ভব
হয়।
১৬. সর্বক্ষেত্রে হালাল-হারাম বিধান মেনে
জীবন যাপন করা।
১৭. কাফেরদের সাদৃশ্য অবলম্বন না করা (ধর্মীয়, সংস্কৃতি ও রীতিনীতির ক্ষেত্রে)।
১৮. কখনো আল্লাহর নাফরমি মূলক কাজ বা পাপাচার
ঘটে গেলে অনতিবিলম্বে আন্তরিক অনুশোচনা সহকারে আল্লাহর কাছে তওবা করা ইত্যাদি।
❑ দায়েমি ফরজ মহিলাদের জন্য: ১৬টি যেমন:
১. সার্বক্ষণিক ঈমানের অবস্থায় থাকা।
২. সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ভয় করা।
৩. সর্বাবস্থায় শিরক, বিদআত এবং সব ধরণের আল্লাহর নাফরমানি ও
পাপাচার থেকে দূরে থাকা।
৪. পরপুরুষের দৃষ্টি থেকে নিজেকে হেফাজত করা
(পূর্ণাঙ্গ পর্দা করা)।
৫. স্বামী ছাড়া নিজের লজ্জা স্থান হেফাজত
করা।
৬. স্বামীর আনুগত্য করা এবং তার
সন্তান-সন্ততি, অর্থ-সম্পদ
ইত্যাদি রক্ষণাবেক্ষণ করা।
৭. সন্তান-সন্ততিকে অন্যায় কাজ করতে দেখলে বা
এ সম্পর্কে অবগত হলে তাদেরকে বাধা দেয়া, তাদেরকে দীনের সঠিক জ্ঞান দান করা ও ইসলামের
উপর প্রতিপালন করা। স্বামীকে অন্যায়-পাপাচারে জড়িত থাকলে তাকে নসিহত করা এবং
সংশোধনের চেষ্টা করা।
৮. মানুষের সাথে সুন্দর আচরণ করা, ভালো কথা বলা অথবা চুপ থাকা। সেই সাথে গিবত, চুগলখোরি, গালাগালি, অশ্লীল ও নোংরা কথাবার্তা, মিথ্যা কথা, মিথ্যা সাক্ষ্য, কারও মৃত্যুতে বিলাপ করা ইত্যাদি থেকে বিরত
থাকা।
৯. সর্বাবস্থায় আল্লাহ, রাসূল ও দীনের
প্রতি ভালবাসা অটুট রাখা।
১০. স্বামী সহবাস, স্বপ্নদোষ, হায়েজ-নিফাস থেকে মুক্ত হলে বা অন্য কোনও
কারণে গোসল ফরজ হলে গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা।
১১. পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, রমজান মাসে রোজা এবং অন্যান্য ফরজ ইবাদতগুলো
যথা সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে আদায় করা।
১২. দীন সম্পর্কে কমপক্ষে এতটুকু জ্ঞান
অন্বেষণ করা যা দ্বারা দৈনন্দিন ফরজ ইবাদত সমূহ সুন্দরভাবে সম্পাদন করা করা সম্ভব
হয়।
১৩. সর্বক্ষেত্রে হালাল-হারাম বিধান মেনে
জীবন যাপন করা ইত্যাদি।
১৪. নিজের শরীরে হক আদায়ের পাশাপাশি অবিবাহিত
অবস্থায় পিতামাতার এবং বিয়ের পর স্বামীর আনুগত্য (যদি তা আল্লাহর নাফরমানি ও
সাধ্যাতিরিক্ত না হয়) এবং মুসলিমদের পারস্পারিক হক সমূহ আদায় করা।
১৫. কাফেরদের সাদৃশ্য অবলম্বন না করা (ধর্মীয়, সংস্কৃতি ও রীতিনীতির ক্ষেত্রে)।
১৬. কখনো আল্লাহর নাফরমি মূলক কাজ বা পাপাচার
ঘটে গেলে অনতিবিলম্বে আন্তরিক অনুশোচনা সহকারে আল্লাহর কাছে তওবা করা ইত্যাদি।
প্রিয় ভাইয়েরা! মহান আল্লাহ তাআলা নারী-পুরুষ উভয়কে তাদের উপর
অর্পিত অবধারিত দায়েমি ফরজ ইবাদতগুলো পূর্ণ ইখলাসের সাথে সম্পাদন করার তওফিক দান
করুন। আমিন।
%20%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A6%9C%20%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B9.jpg)
No comments:
Post a Comment
razzakhowlader59@gmil.com