সলাতের জামাত ছেড়ে দেওয়ার ক্ষতি

 

সলাতের জামাত ছেড়ে দেওয়ার ক্ষতি

এম এ রাজ্জাক হাওলাদার

রাসুলুল্লাহ (স.) কখনো সলাতের জামাত ছেড়ে দেননি। কিন্তু জামাতে সলাত পড়ার প্রতি তিনি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। জামাতে সলাত পড়া ছেড়ে দিলে অনেক কল্যাণ, হেকমত বঞ্চিত হতে হয়। এমনকি নবিজী (স.)-এর অনুসরণও হয় না। এ কারণে নবিজী (স.) জামাত ছেড়ে দেওয়ার মারাত্মক ক্ষতির কথা তুলে ধরেছেন হাদিসের একাধিক বর্ণনায়।

১. নবিজীর হেদায়াত থেকে বঞ্চিত:

জামাতেই আদায় করা জরুরি। জামাতে সলাত না পড়াকে হেদায়াত ও সুন্নাতের অনুসরণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার কথা বলেছেন বিশ্বনবি।

হাদিসে এসেছে-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,

হে মুসলমানগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্য সুনানে হুদা বা হেদায়াতের পন্থা নির্ধারিত করে দিয়েছেন। আর পাঁচ ওয়াক্ত সলাত জামাতের সাথে মসজিদে আদায় করাই হচ্ছে সুনানে হুদা। তোমরা যদি তোমাদের ঘরে সলাত আদায় করা শুরু কর, যেমন অমুক ব্যক্তি জামাত ছেড়ে ঘরে সলাত আদায় করে; তাহলে তোমরা তোমাদের নবির সুন্নাত ছেড়ে দিলে। যদি তোমরা নবির সুন্নাত ছেড়ে দাও, তাহলে হেদায়াতের পথ থেকে তোমরা বিচ্যুত হয়ে পড়বে। (মুসলিম, মিশকাত)

২. বিনা ওজরে একাকি সলাত কবুল হবে না:

আজান শোনার পর কোনো ওজর ছাড়া একাকি সলাত পড়লে তা কবুল হবে না।

হাদিসে এসেছে-

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ (স.)ইরশাদ করেন,

যে ব্যক্তি আজান শোনার পর জামাতে সলাত আদায় করতে উপস্থিত না হয় এবং তার না আসার কোনো ওজরও না থাকে; আর এ অবস্থায় সে যে সলাত পড়ে; সে সলাত কবুল হবে না। এক সাহাবি জানতে চাইলেন, ওজর বলতে কী বোঝায়? উত্তরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘ভয় অথবা অসুস্থতা। (আবু দাউদ)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নিয়মিত জামাতে সলাত আদায় করা। ওজর না থাকলে জামাত ছেড়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকা। জামাতের সঙ্গে সলাত পড়ে সুন্নাতের অনুসরণ ও কল্যাণের পথে অগ্রসর হওয়া। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জামাতে সলাত পড়ার তাওফিক দান করুন। সুন্নাতের অনুসরণ ও কল্যাণ পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।