শুরুতে বিসমিল্লাহ বলার গুরুত্ব
এম এ রাজ্জাক হাওলাদার
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। একটি আয়াতের অংশ। কেউ কেউ একে পূর্ণাঙ্গ আয়াতও বলেছেন। আয়াত হোক আর আয়াতাংশ হোক, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমের রয়েছে অনেক গুরুত্ব। যদি কেউ ফরজ হুকুম পালনের সঙ্গে সঙ্গে বিসমিল্লাহর আমল করে আল্লাহ তাআলা তাকে বরকত ও কল্যাণ দান করেন।
আরবি বিসমিল্লাহর ‘বা’ হরফটি একটি বস্তুর সঙ্গে অন্য বস্তুর সংযোগ
স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এজন্যই তাফসিরকাররা লিখেছেন, সব আসমানি কিতাবে যা রয়েছে এর সব সংরক্ষিত
রয়েছে সুরা ফাতিহায়। আর এ সুরায় যা রয়েছে তা সন্নিবেশিত হয়েছে বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহিমে। আর বিসমিল্লাহয় যা রয়েছে এর সব স্থান পেয়েছে বিসমিল্লাহর ‘বা’ হরফে। ‘বা’ হরফের তাৎপর্য হলো, এর দ্বারা একটি বস্তুর সঙ্গে অন্য বস্তুর
সম্পর্ক গড়ে তোলা হয়। অর্থাৎ পবিত্র কোরআন দ্বারা আল্লাহতায়ালার সঙ্গে তার বান্দার
সম্পর্ক গড়ে তোলা হয়েছে। আর বিসমিল্লাহ পাঠের মাধ্যমে এই সম্পর্কের কথা প্রকাশিত
হয়। বিসমিল্লাহতে আল্লাহতায়ালার তিনটি নাম রয়েছে আল্লাহ, রাহমান ও রাহিম।
আমালুল কুরআন :
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর আমলকারীর
মর্যাদা আল্লাহ তাআলা বৃদ্ধি করবেন। যা কুরআন-হাদিসে এসেছে এবং আল্লাহর প্রিয়
বান্দাদের জিন্দেগিতেও এর বাস্তবতা পাওয়া গেছে।
বিসমিল্লাহর আমলের রয়েছে অনেক ফজিলত।
রোম সম্রাট একবার খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত ওমর
রাদিয়াল্লাহু আনহুর দরবারে তার মাথা ব্যথার কথা জানিয়ে প্রতিকারের জন্য আবেদন
করেছিল। হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে একটি টুপি প্রেরণ করেছিলেন। যতক্ষণ এ
টুপি মাথায় থাকতো ততক্ষণ মাথা ব্যথা হতো না। কিন্তু যখনই মাথা থেকে টুপি সরানো হতো, সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা শুরু হতো। এ ঘটনায় সবাই
বিস্মিত হয়। অবশেষে টুপি খুলে এর কারণ অনুসন্ধান করে দেখা গেল যে তাতে শুধু ‘#বিসমিল্লাহ’ লিপিবদ্ধ রয়েছে।
‘আল্লাহ’ শব্দটি আল্লাহতায়ালার ৯৯টি পবিত্র নামের
মধ্যে সবচেয়ে মহান এবং সুপরিচিত। অর্থের দিক থেকে সুনির্দিষ্ট এবং সুনির্ধারিত। এই
শব্দটির বহুবচন নেই।
কেননা আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়।
#হজরত_রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ পাঠ করো।
যখন কোনো যানবাহনে আরোহণ করো, তখনো বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এবং
আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করো, তাহলে
ভ্রমণকালে তোমার প্রতিটি পদক্ষেপে সওয়াব লেখা হবে। যে দোয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহিম থাকে, সে দোয়া ফেরত
দেওয়া হয় না।
কুরআনের ১১৪টি সূরার মধ্যে ১১৩টি সূরার
শুরুতেই ‘বিসিমল্লাহির
রহমানির রহিম’ শোভিত ও
সংযোজিত করেছেন, সুবহানাল্লাহ।
এই ‘বিসিমল্লাহ’র ফজীলত অপরিসীম। এই আয়াতটিকে পবিত্র কোরআনের
মুকুট বলা হয়। এর অর্থ হচ্ছে—পরম করুণাময় আল্লাহপাকের নামে শুরু করছি-যিনি অতিদয়ালু, করুণাময়। হযরত রাসূলে মকবুল (স) এই আয়াতটিকে
আল কোরআনের শ্রেষ্ঠতম আয়াত বলে উল্লেখ করেছেন। এই আয়াতের মাধ্যমে মহান রাব্বুল
আলামীনের অতি দয়া-করুণাসূচক ‘রহমান ও রহিম’ নাম দুটো
মানবকূলের জন্য সর্বাগ্রে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ জন্যও বিসিমল্লাহির রহমানির
রহিম-এর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বেশি।
ইসলামি স্কলারদের মতে, প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের শুরুতে ‘আল্লাহর জিকির বা স্মরণ’ জরুরি। বিধানগত বিচারে এটা মুস্তাহাব হলেও এর
তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর।
#সংক্ষেপে বলা যায়, এর দ্বারা বান্দা আল্লাহতায়ালার নিয়ামতসমূহ
স্মরণ করে এবং আল্লাহর রহমত প্রত্যাশা করে। তাই আমলটি গুরুত্বের সঙ্গে করা দরকার।
এ ছাড়া যেহেতু বিসমিল্লাহতে আল্লাহতায়ালার পবিত্র নাম রয়েছে তাই গভীর শ্রদ্ধা ও
ভালোবাসার সঙ্গে তা আদায় করতে হবে। পূর্ণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সহিহ-শুদ্ধভাবে বিনয়, বিশ্বাস ও
একনিষ্ঠতার সঙ্গে পাঠ করতে হবে, শুধু নিয়ম রক্ষার খাতিরে নয়।
পরিতাপের বিষয় হলো, অনেক সময় দেখা যায়, কেউ কেউ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এমনভাবে
পাঠ করেন, যেন তা একটি
অতিরিক্ত কাজ। যারা এমন করেন, তারা এই সুন্নতের তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতন নন।
বিসমিল্লাহকে মূল কাজের মতো গুরুত্ব দিয়ে পাঠ করা উচিত; বরং কোনো দুনিয়াবি কাজের শুরুতে যদি ‘বিসমিল্লাহ’ পড়া হয় তাহলে তা ওই কাজের চেয়েও
গুরুত্বপূর্ণ।
বিসমিল্লাহ একটি শক্তিশালী আমল। এর মাধ্যমে
শয়তানের কার্যক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। যাবতীয় অকল্যাণ ও অনিষ্ঠতা থেকে রক্ষা পাওয়া
যায়।
#আবু_মুলাইহ থেকে বর্ণিত, তিনি একজন সাহাবি থেকে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, আমি একবার নবী করিম (সা.)-এর সঙ্গে তার আরোহীর
পেছনে বসা ছিলাম। এমন সময় আরোহী পা ফসকে পড়ে গেল। তখন আমি বললাম, শয়তান ধ্বংস হোক। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘শয়তান ধ্বংস হোক এরূপ বলো না, কেননা এতে সে নিজেকে খুব বড় মনে করে এবং বলে
আমার নিজ শক্তি দ্বারা এ কাজ করেছি; বরং এরূপ মুহূর্তে বলবে ‘বিসমিল্লাহ।’ এতে সে অতি ক্ষুদ্র হয়ে যায়, এমনকি মাছিসদৃশ হয়ে যায়।’
(মুসনাদে আহমাদ : ১৯৭৮২)
প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে প্রথম অহি
নাজিলের সময়ও এ উত্তম বাক্য পড়ানো হয়েছিল। সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস
(রা.) বলেন, ‘হজরত জিবরাইল (আ.) সর্বপ্রথম মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি যা অবতীর্ণ করেছেন, তা হচ্ছে জিবরাইল (আ.) বলেন, হে মুহাম্মদ! আপনি আশ্রয় চান। মুহাম্মদ (সা.)
বলেন, আমি
সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই। অতঃপর জিবরাইল
(আ.) বলেন, হে নবী! আপনি
বলুন, বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহিম।’
(তাফসির ইবনে কাসির : পৃষ্ঠা : ২৬৩)
আমাদের দেশে অনেকেই বিভিন্ন চিঠি-পত্র, নিমন্ত্রণপত্র, অফিসের প্যাড, লিফলেট, পোস্টার, ব্যানার, নেমপ্লেট কিংবা ঘরের দরজা ইত্যাদিতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পুরোটা না লিখে সংক্ষেপে ৭৮৬ লিখে রাখে।
অর্থাৎ আরবি অক্ষরগুলো মান অনুযায়ী বিসমিল্লাহর হরফগুলোর পূর্ণমান বের করে ৭৮৬
লেখা হয়। ৭৮৬ মূলত বিসমিল্লাহ শব্দের সংখ্যা। এভাবে লেখার দ্বারা বিসমিল্লাহ লেখার
সওয়াব আদায় হবে না। পবিত্র কোরআনের আয়াতের সংখ্যা বের করে কেউ তা পড়লে যেমন কোরআন
পড়ার সওয়াব হবে না, তেমনি
বিসমিল্লাহর সংখ্যা ৭৮৬ লিখলে বা পড়লে সেই সওয়াব হবে না।
আবার দাওয়াতনামা, পোস্টার ও ব্যানার নির্ধারিত সময়ের পর কোনো
প্রয়োজন হয় না, সেভাবে
সংরক্ষণও করা হয় না। ফলে প্রয়োজন শেষে পথে-ঘাটে ও নর্দমায় পড়ে থাকে, কিন্তু বরকত লাভের আশায় সেগুলোয় অনেকে
বিসমিল্লাহ লিখেন। এটা ঠিক না। এর দ্বারা বিসমিল্লার অমর্যাদা হয়। মনে রাখতে হবে, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম কোরআনে কারিমের
একটি মর্যাদাপূর্ণ আয়াত। কোরআনের অন্য আয়াতের মতো এর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন
করা অপরিহার্য। তাই এসব ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আরবি-বাংলা কোনো
ভাষাতেই লেখা উচিত নয়।
দুনিয়ার বুকে প্রথম মানুষ আগমন করেছিলেন হজরত
আদম (আ.)। তিনি সাধারণ কোনো মানুষ ছিলেন না, নবী ছিলেন।
তার পর দুনিয়ার বুকে বহু নবী ও রাসূলের আগমন
ঘটেছে। তাদের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে শরীয়ত বা বিধিবিধান। কারো বেলায় পূর্বের নবীর
বিধিবিধান বলবৎ থাকতো। তবে দুনিয়ার বুকে রাসূল হিসেবে যাদের প্রেরণ করা হয়েছে, তাদের সকলকে নতুন শরীয়ত দেয়া হয়েছে। এখান
থেকে আমরা নবী ও রাসূলের মাঝে পার্থক্য বুঝতে পারি। নবী হচ্ছেন এমন ব্যক্তি, যাকে নতুন শরীয়ত দেয়া হতে পারে, আবার নাও দেয়া হতে পারে। রাসূল হচ্ছেন, যাকে নতুন শরীয়ত দেয়া হয়েছে। নবীগণের মাঝে রয়েছে
মর্যাদাগত পার্থক্য।
আল কুরআনে বলা হয়েছে-
تِلْكَ الرُّسُلُ فَضَّلْنَا بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ مِّنْهُم
مَّن كَلَّمَ اللَّهُ وَرَفَعَ بَعْضَهُمْ دَرَجَاتٍ وَآتَيْنَا عِيسَى ابْنَ
مَرْيَمَ الْبَيِّنَاتِ وَأَيَّدْنَاهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ
অর্থ: এই রাসূলগণ-তাদের কতককে কতকের ওপর আমি শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি। তাদের মধ্যে কেউ তো এমন, যার সঙ্গে আল্লাহ তায়ালা কথা বলেছেন এবং কাউকে বহু মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। (সূরা: বাকারা: ১৫৩)
পার্থক্যের বহু দিক রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম
হচ্ছে, কারো শরীয়তকে
আল্লাহ তায়ালা সহজ ও আসান করে দিয়েছেন। অল্প আমলে বেশি নেকি লাভের পথ উম্মোচন
করেছেন কারো কারো ক্ষেত্রে। সৌভাগ্যবান মুসলিম উম্মাহ। উল্লেখিত দুটি বৈশিষ্ট্যই
ইসলামি শরীয়তে রয়েছে। ইসলাম হচ্ছে সহজ ব্যবস্থা, এখানে কঠোরতার কোনো স্থান নেই। বরং যে কঠোরতা
করবে সে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হবে।
নবী করীম (সা.) বলেন-
عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه و سلم قال : ( إن الدين يسر
ولن يشاد الدين أحد إلا غلبه فسددوا وقاربوا وأبشروا واستعينوا بالغدوة والروحة
وشيء من الدلجة
আবু হুরাইরা (রা.) এর সূত্রে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, ইসলাম হচ্ছে, সহজ একটি ব্যবস্থা। দীনের ব্যাপারে কঠোরতা করে কেউ সফল হতে পারেনি। অতএব, তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন কর এবং পরস্পর মিলেমিশে থাক। কম আমলে বেশি নেকির সুসংবাদ দাও। তোমরা আল্লাহর কাছে সকাল, সন্ধা ও রাতের শেষাংশে সাহায্য চাও।(সহীহ বুখারী-৩৯)
ইসলাম হচ্ছে কম আমলে বেশি নেকি লাভের ধর্ম। এ
প্রসঙ্গে হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
#নবী_করীম (সা.) বলেন, ‘দুনিয়ায় তোমাদের থাকার সময় পূর্ববর্তীদের তুলনায় খুবই কম। দুনিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময়কে যদি এক দিন ধরা হয় তাহলে অন্যদের সময় হচ্ছে, দিনের ফজর থেকে আসর পর্যন্ত আর তোমাদের সময় হচ্ছে আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত (তবে তোমাদের আমলের পাল্লা ভারী হবে)।
ই×হু=দি ও খ্রি+স্টা÷ন×দের দৃষ্টান্ত হচ্ছে ওই ব্যক্তির ন্যায়, যে কিছু কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে, তাদের বেতন ঠিক করে। বেতন ঠিক করার পদ্ধতি অনেকটা এ রকম যে, মনিব কর্মচারীদেরকে বলে, ফজর থেকে যোহর পর্যন্ত এক কিরাতের (তৎকালিন সময়ের মুদ্রা) বিনিময়ে কে কাজ করে দিবে? ই%হু#দি×রা এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। তারপর মনিব বলে, যোহর থেকে আসর পর্যন্ত ওই পরিমান টাকার বিনিময়েই কে কাজ করে দিবে? তখন খ্রি@স্টা%ন×রা রাজি হয়। তারপর সে মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বলে, তোমরা আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত কাজ করবে আর বিনিময়ে পাবে দুই কিরাত পরিমান মুদ্রা। এ কথা শুনে অন্যরা বলে ওঠে, আমরা বেশি কাজ করে, কম বিনিময় পেয়েছি। তাদের কথা শুনে মনিব বলে, আমি কি তোমাদের উপর জুলুম করেছি? কর্মচারীরা বলে, না। তারপর মনিব বলে, এটা আমার অনুগ্রহ, আমি যাকে ইচ্ছা দান করি। (সহীহ বুখারী-৪৭৩৩)
ইসলাম হচ্ছে সহজ ও কম আমলে বেশি নেকি লাভের
ধর্ম। এর দৃষ্টান্ত হচ্ছে কাজের শুরুতে বিসমিল্লার আমল। সহজ শব্দ কিন্তু এর দ্বারা
লম্বা সময় পর্যন্ত আল্লাহর যিকির না করেও যিকিরের ছওয়াব লাভ করা যায়।
বিভিন্ন ধর্মে কাজ শুরু করা পদ্ধতি:
প্রাগৈসলামিক যুগে আরবের মুশরিক সম্প্রদায়
বিভিন্ন মূর্তির নাম নিয়ে কাজ শুরু করতো। অন্যন্য আসমানী ধর্মের অনুসারী যেমন
ইহুদি, খ্রিস্টান
তারাও স্রষ্টার নামে কাজ শুরু করতো। কিন্তু ‘#বিসমিল্লাহির_রাহমানির_রাহিম’ নির্দিষ্ট এই বাক্য দিয়ে ইহুদি, খ্রিস্টানদের কাজ শুরু করার বিষয়টিকে, অনেক শরীয়তবেত্তা নাকচ করেছেন। ইসলাম জাহেলি
যুগের রসম এবং শুধুমাত্র সৃষ্টার নামে শুরু করার রীতিকে পরিবর্ত করেছে। তদ্বস্থলে
নির্দিষ্ট বাক্য ‘বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহিম, দ্বারা শুরু
করার রীতি প্রবর্তন করেছে। অতএব, বিসমিল্লাহর পরিবর্তে অন্য কিছু দ্বারা কাজ
শুরু করলে সুন্নত আদায় হবে না।
বিসমিল্লাহ দিয়ে কাজ শুরু করার হিকমত:
আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি কাজ ‘বিসমিল্লাহ’ দিয়ে শুরু করার নির্দেশ দিয়ে মূলত বান্দার
কাজের রুখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কাজের শুরুতে বান্দার ‘বিসমিল্লাহ’ বলার অর্থ হচ্ছে, সে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করছে যে, আমার কোনো কাজ আল্লাহর ইচ্ছা ও সাহায্য ছাড়া
হতে পারে না। এর দ্বারা আল্লাহর সঙ্গে মুমিনের কাজের সম্পর্ক স্থাপন হয়। এবং
বান্দার জাগতিক কাজও আল্লাহ তায়ালার নিকট ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়।
বিসমিল্লাহ এর বিধিবিধান:
#মাসয়ালা :
ফকিহগণের মতে তারাবির নামাজে একবার পুরো কোরআন খতম করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। খতম করার সময় একটি আয়াত ছুটে গেলেও সুন্নত আদায় হবে না। এ জন্য, হাফিজ সাহেবের উচিত, কোনো একদিন তারাবির নামাজে বিসমিল্লাহ উচ্চ আওয়াজে পড়া।(আব্দুল হাই লক্ষনবি, সিয়াহ শরহে বেকায়া, খন্ড- ২, পৃষ্ঠা-১৭০)
#মাসয়ালা :
নামাজের প্রত্যেক রাকাতের শুরুতে বিসমিল্লাহ
পড়া ইমাম আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদসহ
আরো বহু ফকিহের নিকট ওয়াজিব।
#ইমাম_আবু_হানিফা (রাহ.) এর মতে সুন্নত। তাই নামাজ যেন সর্বসম্মতিক্রমে শুদ্ধ হয়, সে জন্য ফাতেহার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া উচিত।(আব্দুল হাই লক্ষনবি, সিয়াহ শরহে বেকায়া, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-১৬৯)
#মাসয়ালা :
বহু সাহাবা, তাবেয়ী ও আইম্মায়ে মুজতাহিদের (রাহ.) মতে
বিসমিল্লাহ কোরআনের একটি আয়াত। আবার এর বিপরীতে অনেকের মত হচ্ছে, সূরা নামলের অন্তর্ভূক্ত বিসমিল্লাহ কোরআনের
আয়াত হলেও, প্রত্যেক
সূরার শুরুর বিসমিল্লাহ কোরআনের অন্তর্ভূক্ত নয়।
বরং দুই সূরার মাঝে পার্থক্যকারী বিষয় হিসেবে
বারবার নাজিল করা হয়েছে। এই মতানৈক্যের কারণে, উলামায়ে কেরাম বলেন, কোরআনের ইজ্জত সম্মান সংশ্লিষ্ট যাবতিয়
বিধিবিধান বিসমিল্লাহর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
#অর্থাৎ ওজু ছাড়া যেমন কোরআন স্পর্শ করা যায় না, বিসমিল্লাহকেও স্পর্শ করা যাবে না। অন্য
ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহর হুকুম কোরআনের মতো হবে না। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি যদি নামাজে
কেরাত হিসেবে শুধু বিসমিল্লাহ পড়ে তাহলে তার নামাজ হবে না। (জাওয়াহিরুল ফিকহ, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা-১৩)
#মাসয়ালা :
ইমাম আবু হানিফা (রাহ.) মতে সূরা ফাতেহা পড়ার পর, অন্য সূরা মিলানোর শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নত নয়। ইমাম মুহাম্মাদ (রাহ.) এর মত হচ্ছে, উচ্চ আওয়াজের কেরাতে তা ছেড়ে দেয়া উত্তম আর নিম্ন আওয়াজের কেরাতে তা পড়া উত্তম। এ সকল মতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হচ্ছে, সূরা ফাতেহা পড়ার পর, অন্য সূরার শুরুতে বিসমিল্লাহ না পড়া। (জাওয়াহিরুল ফিকহ, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা-১৩)
#মাসয়ালা :
কোথাও বিসমিল্লাহ লেখা দ্বারা যদি অসম্মানির
আশংকা থাকে তাহলে বিসমিল্লাহ মুখে বলে, ৭৮৬ সংখ্যা লিখে দিলে সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।
(ফতোয়ায়ে উসমানী, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-১৬৪)
নবী করীম (সা.) বলেন-
كل امر ذى بال لا يبدا فيه ببسم الله الرحيم اقطع
গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ বিসমিল্লাহ ছাড়া শুরু
করলে তা অসম্পূর্ণ (যদিও বাহ্যিকভাবে তা হতে পারে পরিপূর্ণ)।
কারণ, বিসমিল্লাহ দিয়ে কাজ শুরু করা দ্বারা যতোটুকু
বরকত হতো, বিসমিল্লাহ
ছাড়া শুরু করা দ্বারা কখনো তা আশা করা যায় না।
এক বর্ণনায় এসেছে, সাহাবায়ে কেরামের একটি দল এসে নবীজি (সা.) এর
কাছে অভিযোগ করলো, আমরা খাবার
খাই কিন্তু পেট ভরে না।
নবীজি (সা.) বললেন, তোমরা একসঙ্গে খাবে এবং খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলবে। তারপর থেকে আল্লাহর রহমতে পেট ভরা শুরু হলো।(আবু দাউদ-৩৭৬৬)
খাবার মানুষের দৈহিক বেঁচে থাকার মাধ্যম।
আত্মিকভাবে বেঁচে থাকতে হলে প্রয়োজন জ্ঞানের; যাকে দীনি পরিভাষায় ইলম বলা হয়। এক সময়
বাঙ্গালি মুসলমানদের ঐতিহ্য ছিলো শিক্ষা-দীক্ষাসহ যাবতীয় কাজ ‘#বিসমিল্লাহ’ ‘#রাব্বি_যিদনী_ইলমা’ দিয়ে শুরু করা।
তখন আর্থিক অভাব-অনটন থাকলেও সমাজে শান্তি
ছিলো। ছিলো পরস্পর সৌহার্দ্য ভালোবাসা। পশ্চিমা সংস্কৃতির আগ্রাসনে আজ আমরা
সেগুলোকে শিক্ষা-দীক্ষা থেকে বিদায় দিচ্ছি। তাই আজ আমরা অনেক কিছু শিখছি, কিন্তু কোনটা দিয়েই পেট ভরছে না। আমাদের সমাজ
দিন দিন শিক্ষিত হচ্ছে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে শূন্য হচ্ছে মনুষ্যত্ব থেকে।
অনেকে আমরা ভুলের শিকার। কারণ, অনেকে মনে করি শিক্ষা-দীক্ষা বিসমিল্লাহ, আল্লাহর প্রশংসা দিয়ে শুরু করা মোল্লাদের
কাজ। আমাদের তথা জেনারেল শিক্ষা-দীক্ষা শুরু হবে সাধারণভাবে। মনে রাখতে হবে, এগুলো মোল্লাদের জন্য নয়, মুসলমানের জন্য। মোল্লাও যেমন মুসলমান, আমি আপনিও তেমনি একজন মুসলমান।
শিক্ষা-দীক্ষায় এগুলো না থাকার কারণে আমাদের
সন্তানেরা আল্লাহর রহমত ও বরকত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানবিক কোনো উন্নতি হচ্ছে না
শিক্ষা-দীক্ষা দ্বারা। এ জন্য, সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ভাইদের কাছে আবেদন, আমরা পূর্বসূরিদের ন্যায় জ্ঞানের জন্য
ত্যাগ-কোরবানি দিতে পারবো না, কিন্তু এই সামান্য বাক্য ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ে সবকিছু শুরু করতে পারব ইনশাআল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম-এর আজব শক্তি:
মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলীফা হযরত উমর ফারুক
(রা.) একদিন মদীনার মসজিদে নাবুবীতে অন্যান্য সাহাবায়ে কেরামের সাথে কোরআনুল
কারীমের ফাজায়েল সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। তাদের মধ্যে একজন বললেন সূরা বারাআতের
শেষাংশ সর্বোত্তম।
আর একজন বললেন-কা-ফ হা-ইয়া-আইন-সোয়াদ ও
ত্বা-হা সর্বোত্তম। এভাবে প্রত্যেকেই আপন আপন জানা অনুসারে বিভিন্ন উক্তি করেন।
এই মজলিসে হযরত উমর বিন মায়দী কারব (রা.) ও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেন : হে আমীরুল
মুমেনীন! আপনারা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম-এর বিস্ময়কে ভুলে গেছেন দেখছি।
আল্লাহর কসম! বিসমিল্লাহ-এর মধ্যে এক অত্যাশ্চার্য শক্তি নিহিত আছে।
একথা শুনে খলীফা হযরত উমর বিন খাত্তাব (রা.)
সোজা হয়ে বসলেন এবং বললেন : হে আবু মাছুর? আপনি আমাদের কাছে বিস্মিল্লাহ-এর বিস্ময়কর
বিষয়টি খুলে বলুন। সুতরাং হযরত উমর বিন মায়দী কারব (রা.) বর্ণনা আরম্ভ করলেন : হে
আমীরুল মুমেনীন! জাহেলিয়াতের যুগে একবার আমরা ভীষণ দুর্ভিক্ষের শিকার হই। সে সময়
একদিন আমি রুজীর সন্ধানে ঘোড়ায় চড়ে জঙ্গলে যাই। এভাবে আমি কিছু দূর গমন করার পর আমার
সামনে একটা ঘোড়া, কিছু গবাদি
পশু ও একটা তাঁবু নজরে পড়ল। আমি তাঁবুর কাছে পৌঁছলাম। তাঁবুতে একজন সুন্দরী
মলিহাকে দেখতে পেলাম। তাঁবুর সামনে এক বৃদ্ধকে হেলান দিয়ে পড়ে থাকতে দেখলাম। আমি
বৃদ্ধকে বললাম, তোমার কাছে যা
কিছু আছে তা’ আমাকে দিয়ে
দাও। তোমার মা তোমাকে ধ্বংস করুক।
বৃদ্ধটি বলল, তুমি যদি আতিথেয়তা চাও, তাহলে নেমে এস। আর যদি সাহায্য চাও তাহলে বল, আমরা তোমাকে সাহায্য করব। আমি বললাম-তোমার
মাতা তোমাকে ধ্বংস করুক। তোমাদের জিনিসপত্র সব আমাকে দিয়ে দাও?
তখন সে এমন দুর্বল বৃদ্ধের মতো উঠল, সে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তারপর
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বলতে বলতে আমার দিকে এগিয়ে এলো এবং আমাকে ধরে এমন
জোরে টান দিলো যে আমি নিচে পড়ে গেলাম এবং সে আমার বুকের ওপর চড়ে বসল। তখন সে বলল, তোকে ছেড়ে দেব নাকি মেরে ফেলব? আমি বললাম, আমাকে ছেড়ে দাও। সুতরাং সে আমার ওপর থেকে উঠে
গেল।
আমি মনে মনে ভাবলাম, আমি মরু আরবের এক বিখ্যাত বীর। এই বৃদ্ধটি
থেকে পালিয়ে যাওয়ার চাইতে আমার মরে যাওয়াই ভালো। সুতরাং আমার মন-মগজ পুনরায় আমাকে
লড়াই করার জন্য উত্তেজিত করে তুলল। আমি বৃদ্ধটিকে লক্ষ্য করে বললাম, তোমার মাতা তোমাকে ধ্বংস করে দিক। তোমাদের
মাল-পত্রগুলো আমাকে দিয়ে দাও। তারপর পুনরায় সে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বলতে
বলতে আমার দিকে তেড়ে আসল এবং আমাকে এমন জোরে টান দিলো যে আমি তার নিচে চলে গেলাম
এবং সে আমার বুকের ওপর চড়ে বসল।
বলল, বল, তোমাকে হত্যা করব নাকি ছেড়ে দেব? আমি বললাম, ছেড়ে দাও। সুতরাং সে আমাকে ছেড়ে দিলো। পুনরায়
পরাজয়ের গ্লানি আমাকে ধিক্কার দিতে লাগল, আমি ক্ষীপ্ত হয়ে বললাম, তোমার মাতা তোমাকে খতম করে দিক। তোমার যাবতীয়
মাল সম্পদ আমাকে দিয়ে দাও? সে পুনরায়
বিসমিল্লাহ পড়তে পড়তে আমার দিকে ধেয়ে আসল। আমি শিউরে উঠলাম। সে এমন জোরে আমাকে টান
দিলো যে আমি তার নিচে গিয়ে পড়লাম। তখন আমি সবিনয়ে বললাম, এবারেও আমাকে ক্ষমা করে দাও।
সে বলল, তিন বারের মাথায় আমি তোমাকে ছেড়ে দেব না।
তারপর বলল, ওহে বাঁদী? তীক্ষèধার তরবারিটি নিয়ে এস? বাঁদী তরবারিটি বুড়োর হাতে তুলে দিলো। বুড়ো
আমার মাথার টিকি কেটে দিলো এবং ছেড়ে দিলো।
হে আমীরুল মুমেনীন! জাহেলিয়াতের যুগে আমাদের
মাঝে এই রীতি ছিল যে, কেউ মাথার
টিকি কেটে দিলে পুনরায় টিকি না উঠা পর্যন্ত আমরা বাড়ি ফিরতে লজ্জা বোধ করতাম।
কাউকে মুখ দেখাতেও চাইতাম না। নীরবে নিভৃতে সময় কাটাতাম। বৃদ্ধ লোকটি আমাকে বলল, উমর! টিকি কাটা অবস্থায় কোথাও না গিয়ে বরং এক
বছর যাবত তুমি আমার খেদমত করবে, আমার সাথে থাকবে। লোক লজ্জার হাত হতে রেহাই
পাবে। অগত্যা আমি এই প্রস্তাব মেনে নিলাম এবং এক বছর যাবত বুড়োর সেবা করতে রাজি
হয়ে গেলাম।
হাদিস শরীফে এসেছে যদি কোন ব্যক্তি নিজের
পরিধেয় কাপড় পরিবর্তন করতে চায় এবং বিসমিল্লাহ পড়ে তখন আল্লাহ তার মাঝে ও ফেরেশতা
এবং জিন্নাত এর মাঝে পর্দা দিয়ে দেন।যার কারনে ফেরেশতা এবং জিন্নাত তাকে দেখতে
পায়না।এখানে একটি সুক্ষ বিষয় পাওয়া গেল যদি আমরা প্রত্যেক ভাল কাজের শুরুতে
বিসমিল্লাহ পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলি তা হলে বিসমিল্লাহ আমাদের এবং জাহান্নামের মাঝে
পর্দা করে দিবে।
বিসমিল্লাহর মধ্যে ১৯ টি অক্ষর আছে,জাহান্নামের জিম্মাদার ফেরেশতা ১৯ জন,বিসমিল্লাহর ১৯ টি অক্ষর ১৯ জন ফেরেশতা থেকে
বাচার কারন হয়ে যাবে।এ জন্য বেশী করে বিসমিল্লাহ পড়ার অভ্যাস করা চাই। বিসমিল্লাহ
এর মধ্যে চারটি শব্দ আছে।এবং চার ধরনের গুনাহ আছে।১। প্রকাশ্যের গুনাহ ২। গোপনের
গুনাহ৩। দিনের গুনাহ ৪। রাতের গুনাহ প্রত্যেকটি শব্দ গুনাহের কাফফারা হবে।
বিসমিল্লাহ এর মধ্যে আল্লাহর তিনটি নাম
ব্যবহার করেছেন আল্লাহ রাহমান রাহীম।সাধারণত গুনাহ তিন প্রকার
১। কুফর শিরক থেকে বেচে থাকা এবং ঈমান গ্রহন
করা।
২। কবিরা গুনাহ থেকে বেচে থাকা আল্লাহর
আনুগত্য স্বীকার করা।
৩। ওয়াস ওয়াসা মুক্ত হয়ে আল্লাহ পাকের এবাদত বন্দেগী করা।যে বান্দা প্রত্যেক ভাল কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়বে,আল্লাহ তায়ালা তাকে গুনাহ থেকে বেচে থাকার তাওফিক দিবেন।(খুতবাতে জুলফিকার ৫ নং খন্ড ২৮৪ নং পৃষ্ঠা
যখন কোন বান্দা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়ে,তখন শয়তান এরুপ গলে যায়,যে ভাবে সিসা আগুনে গলে যায়। যখন কোন মুমিন ব্যক্তি দোয়া করে যে দোয়াতে কোন পাপ ও থাকে না ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয় থাকে না,মহান আল্লাহ তিন পদ্ধতির কোন এক পদ্ধতিতে তার দোয়া অবশ্যই কবুল করে নেন।যে দোয়া সে করেছে হুবহু সেভাবে তা কবুল করেন অথবা তার দোয়ার প্রতিদান আখেরাতের জন্য সংরক্ষন করেন কিংবা এ দোয়ার মাধ্যমে তার উপর আগত কোন বিপদ তিনি দূর করে দেন।(বুখারী)
#পরিশেষে...আল্লাহ তাআলার দরবারে ফরিয়াদ আল্লাহর শুকরিয়া
আদায়, আল্লাহর
প্রশংসা, আল্লাহর নাম
নেয়া ছাড়া আমাদের কোনো কাজ যেন শুরু না হয়। সব সময় সব কাজ আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু
করব। উপরোক্ত বরকত ও কল্যাণ লাভে ধন্য হব। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন। আমিন
No comments:
Post a Comment
razzakhowlader59@gmil.com