সালাতের মধ্যে কিরাতের সুন্নাত পদ্ধতি
এম এ রাজ্জাক হাওলাদার
* তা'আউজ অর্থাৎ আউযুবিল্লাহ পড়া। (বাদাইউস সানায়ে'-খ. ১, পৃ. ২০২)
* তাসমিয়া অর্থাৎ বিসমিল্লাহ পড়া। (আল বাহরুর
রায়েক-খ. ১, পৃ. ৩১২)
* সুরা ফাতিহার পর আমিন বলা। (আল ফিক্বহ আলাল মাজাহিবিল
আরবাআ-খ. ১, পৃ. ২৫০)
* ফজর ও জোহরে 'তেওয়ালে মুফাস্সল' অর্থাৎ সুরায়ে হুজরাত থেকে সুরায়ে বুরুজ
পর্যন্ত সুরাগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটি পড়া, আসর ও এশায় 'আওসাতে মুফাস্সল' অর্থাৎ সুরায়ে বুরুজ থেকে সুরায়ে বায়্যিনাত
পর্যন্ত পড়া।
মাগরিব নামাজে 'কিসারে মুফাস্সাল' ছোট সুরা অর্থাৎ দ্বোহা অথবা সুরায়ে যিলযাল থেকে সুরায়ে নাস পর্যন্ত
সুরাগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি পড়া। (হিদায়া-খ. ১, পৃ. ১১৯) আল-বাহরুর রায়েক-খ. ১, পৃ. ৩৪০)
* ফজরের প্রথম রাকাত দীর্ঘ করা। (বাদাইউস
সানায়ে'-খ. ১, পৃ. ২০৬)
* মধ্যম গতিতে পড়া; অর্থাৎ খুব দ্রুতও নয় আবার বেশি ধীরেও নয়।
(ফতোয়া তাতারখানিয়া-খ. ১, পৃ. ৪৫৬)
উল্লেখ্য, কুরআন তিলাওয়াতের তিনটি পদ্ধতি। তারতীল, তাদবীর ও হাদর। মধ্যম পদ্ধতি তাদবীর।
* ফরজ নামাজের তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে শুধু
সুরায়ে ফাতিহা পড়া। (হিদায়া-খ. ১, পৃ. ১১১)
* ফজর এবং মাগরিবের সুন্নতে সুরা কাফিরুন এবং
ইখলাস পাঠ করা। (মুসলিম শরীফ)
* কুরআনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।
* কিরাতে কন্ঠস্বর বেশি উঁচু এবং নীচু না করে
মধ্যম স্বরে পাঠ করা।
No comments:
Post a Comment
razzakhowlader59@gmil.com