তীব্র গরম
কি জাহান্নামের শ্বাস প্রশ্বাস?
-এম এ রাজ্জাক হাওলাদার
অতিরিক্ত গরমকে নিয়ে বাজে মন্ত্রব্য বা কৌতুক
না করে আল্লাহকে ভয় করুন। কারণ এ গরম জাহান্নাম এর উত্তাপ থেকেই হয়। যেখানে একটু সময় ফ্যান, এসি ছাড়া থাকতে পারেন না। বিদ্যুৎ চলে গেলেই একটু বাতাস খুজেন। কোথায় গেলে গরম কমবে। এই গরমে সেখানে জাহান্নাম কেমন হবে ভাবেন তো ? আর এই গরম এর উত্তাপ জান্নাম থেকেই আসতেছে। গরমের তীব্রতা নিয়ে মহানবী (সা.)যা বলেছেন, যেমন
রাসুল (সা.)এর কিছু হাদীস থেকে স্বশ্টই পাওয়া যায়।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا اشْتَدَّ الحَرُّ
فَأَبْرِدُوا بِالصَّلاَةِ، فَإِنَّ شِدَّةَ الحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নাবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন গরম বেড়ে যায় তখন তোমরা তা কমে এলে (যুহরের) সলাত আদায় করো।
কেননা, গরমের
প্রচন্ডতা জাহান্নামের উত্তাপের অংশ। [বুখারী-৫৩৬]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،
عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " قَالَتِ النَّارُ:
رَبِّ أَكَلَ بَعْضِي بَعْضًا، فَأْذَنْ لِي أَتَنَفَّسْ، فَأْذِنْ لَهَا بِنَفَسَيْنِ،
نَفَسٍ فِي الشِّتَاءِ، وَنَفَسٍ فِي الصَّيْفِ، فَمَا وَجَدْتُمْ مِنْ بَرْدٍ، أَوْ
زَمْهَرِيرٍ فَمِنْ نَفَسِ جَهَنَّمَ، وَمَا وَجَدْتُمْ مِنْ حَرٍّ، أَوْ حَرُورٍ فَمِنْ
نَفَسِ جَهَنَّمَ " (مُسْلِمْ ــ617)
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জাহান্নাম অভিযোগ করে আল্লাহর কাছে বলল, হে আমার প্রভু! আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে
ফেলছে। সুতরাং আমাকে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের অনুমতি দিন। তাই আল্লাহ তা’আলা তাকে দুবার শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুমতি দান
করলেন। একবার শীত মৌসুমে আরেকবার গ্রীষ্ম মৌসুমে। তোমরা শীতকালে যে ঠান্ডা অনুভব
করে থাকো তা জাহান্নামের শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণ। আবার যে গরমে বা প্রচন্ড উত্তাপ
অনুভব করে থাকো তাও জাহান্নামের শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণে। [সহিহ মুসলিম-৬১৭ শামে-১৮৭ ইফা-২য়খন্ড.১২৯০হা:]
হাদিসের
ব্যাখ্যায় উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
(১) প্রকৃত অর্থও হাদিসের অনুরূপ। ইমাম নববীও
এই মতটি সমর্থন করেছেন।
(২) কিছু ‘আলেম বলেন- হাদিসের প্রকৃত অর্থ নয়, বরং রূপক অর্থ নিতে হবে। এই মতের স্কলাররা
বলেন, জাহান্নাম ও
সূর্যের মধ্যে সূক্ষ্ম সংযোগ ও সম্পর্ক সৃষ্টি করে রেখেছেন আল্লাহ। সে অনুযায়ী, জাহান্নাম থেকেই উত্তাপ গ্রহণ করে সূর্য, আর সূর্য তাপ বিকিরণে যন্ত্রের মতো কাজ করে।
তাই সূর্যের দূরত্ব অনুপাতে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় গ্রীষ্মকাল বা শীতকাল হয়।
(৩) কিছু স্কলার বলেন, জাহান্নামের নিঃশ্বাস গ্রীষ্মকাল বা শীতকাল
নয়, বরং নিঃশ্বাস
গ্রীষ্ম বা শীতকালে ঘটে। এ বিষয়ে ইমাম ইবনু আব্দিল বার(র.) তার তামহিদ গ্রন্থে এই
হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন—জাহান্নামের
নিঃশ্বাস শীতকালে ঘটে; নিঃশ্বাস
শীতকাল নয়। জাহান্নামের নিঃশ্বাস গ্রীষ্মকালে ঘটে; নিঃশ্বাস গ্রীষ্মকাল নয়। (আত তামহিদ: ৮/৫)
(৪) কিছু স্কলার বলেছেন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুটোই সঠিক। তাদের মতে, শীত-গ্রীষ্মের তীব্রতার জন্য প্রত্যক্ষ কারণ
হলো পৃথিবীর উপর সূর্যের তীর্যক বা খাড়াভাবে আলো দেওয়া। আর পরোক্ষ কারণ হলো
জাহান্নামের নিঃশ্বাস। রাসুল (সা.) এখানে পরোক্ষ কারণ উল্লেখ করেছেন। আর
প্রত্যক্ষ কারণকে উল্লেখ করেননি অপ্রআসঙ্গিক হওয়ায়। আর সেটা তো মানুষ জ্ঞানবুদ্ধি
দ্বারাই বুঝতে সক্ষম। সুতরাং এটা সুনিশ্চিত যে, পরোক্ষ কারণের উল্লেখ প্রত্যক্ষ কারণের
অনুপস্থিতিকে আবশ্যক করে না। তাই শীত-গ্রীষ্মকালের তীব্রতার জন্য জাহান্নামের
নিঃশ্বাস সূর্যের আলোর তারতম্যের কারণকে বাতিল করে না।
গরমের
তীব্রতা জাহান্নামের আগুণকে স্মরণ করিয়ে দেয়:
গরমের তীব্রতা জাহান্নামের আগুণকে স্মরণ
করিয়ে দেয়। আরবের মরু এলাকায় উত্তপ্ত বালু ও মরুঝড়ের
কারণে সেখানে ভীষণ গরম দেখা দিত। তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) জোহরের সালাত কিছুটা বিলম্বে আদায় করতেন।
এজন্য গরম বেশি পড়লে জোহরের নামাজ দেরিতে পড়া সুন্নত। আবু জার (রা.) বলেন, এক সফরে আমরা আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। একসময় মুয়াজ্জিন জোহরের
আজান দিতে চেয়েছিল। তখন নবী (সা.) বলেন, গরম কমতে দাও। কিছুক্ষণ পর আবার মুয়াজ্জিন
আজান দিতে চাইলে নবী (সা.) (পুনরায়) বলেন, গরম কমতে দাও।
এভাবে তিনি (সালাত আদায়ে) এত বিলম্ব করলেন যে আমরা টিলাগুলোর ছায়া দেখতে পেলাম।
অতঃপর নবী (সা.) বলেন, গরমের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের উত্তাপ হতে।
কাজেই গরম প্রচণ্ড হলে উত্তাপ কমার পর সালাত আদায় করো। (সহীহ বুখারী: ৫৩৯)
সুতরাং গরমের তীব্রতা জাহান্নামের তীব্রতার
কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কাজেই তীব্র গরমে জাহান্নামের কথা স্মরণ করে মহান আল্লাহর
কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়া উচিত। গরম তো সহ্য করতেই হবে তাইনা ? তাই হাসি ঠাট্টা না করে গরমকে সহ্য করে
জাহান্নাম এর ভয় করে আল্লাহর কাছে ফিরে আসি। যে জাহান্নাম
এর নিশ্বাস এর এই অবস্হা। তাহলে সে জাহান্নাম কেমন হবে? আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরআন ও হাদিসের ওপর সুদৃঢ় বিশ্বাস ও আস্থা
রাখার এবং সুন্নাহ অনুযায়ী দীনের সকল বিধান মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
জাহান্নামের উত্তাপের কারণে কীভাবে
জ্বর হতে পারে?
এ সংক্রান্ত হাদীসে এসেছে,
فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " الْحُمَّى مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَأَبْرِدُوهَا بِالْمَاءِ
".
অর্থঃ “... কারণ, আল্লাহর
রসূল(ﷺ) বলেছেন, জ্বর জাহান্নামের উত্তাপ
থেকে বা উত্তাপের কারণে হয়। অতঃপর তোমরা তা পানি দিয়ে ঠাণ্ডা কর। (সহীহ বুখারী-৩২৬১)
ইসলামবিরোধীরা প্রশ্ন তোলে -
কীভাবে জাহান্নামের উত্তাপের কারণে জ্বর হতে পারে?
এ সংক্রান্ত ব্যাখ্যায় ইমাম ইবন হাজার আসকালানী(র.) বলেছেন,
(من فيح أو فوج جهنم بمعنى سطوع حرها ووهجه، واختلف في نسبتها
إلى جهنم فقيل حقيقة، واللهب الحاصل في جسم المحموم قطعة من جهنم وقد قدر الله
ظهورها بأسباب تقتضيها ليعتبر العباد بذلك، كما أن أنواع اللذة والفرح من نعيم
الجنة أظهرها في هذه الدار عبرة ودلالة. وقيل بل الخبر مورد التشبيه والمعنى
أن حر الحمى شبيه بحر جهنم تنبيهاً للنفوس على شدة حر النار وأن هذه الحرارة
الشديدة شبيهة بفيحها وهو ما يصيب من قرب منها من حرها
অর্থঃ জাহান্নামের "ফাইহি
অথবা ফাউজি" এর অর্থ হল - এর (জাহান্নামের) আভা ও প্রভাব (তীব্রতা)।
জাহান্নামের দিকে এটি সম্পৃক্ত করার কারণের ব্যাপারে মতভেদ আছে। (কেউ
কেউ) বলেছেন, এটা বাস্তবিক অর্থেই বলা হয়েছে। জ্বরাক্রান্ত
ব্যক্তির শরীরে গরমের যে প্রচণ্ডতা এসেছে তা জাহান্নামের একটি অংশ। আল্লাহ তার
প্রকাশ (গরমের
তীব্রতা) করা এমন কিছু কারণে নির্ধারন করেছেন যাতে বান্দাকে উপদেশ গ্রহণ করতে দাবি
করে (ভাবিয়ে তোলে) যেমন (দুনিয়ার) মজা-আনন্দ জান্নাতের নেয়ামতের(অংশ)। (আল্লাহ এই নেয়ামতকে) এই দুনিয়ায় প্রকাশ করেছেন উপদেশ গ্রহণ ও নির্দেশনা হিসাবে।
আবার (কেউ কেউ) বলেছেন, বরং সংবাদটি (হাদিসটি)
বর্ণিত হয়েছে উদাহরণ হিসাবে। (এর) অর্থ হল, জ্বরের উত্তাপের তীব্রতা জাহান্নামের উত্তাপের
সাথে সাদৃশ্য রাখে। (আর তা এই জন্য যে,)
মানুষকে জাহান্নামের
উত্তাপের তীব্রতা থেকে সতর্ক করা। আর এই তীব্র উত্তাপ জাহান্নামের প্রখরতার সাথে
সাদৃশ্য রাখে। সে তার জাহান্নামের উত্তাপ থেকে কিছু অংশ প্রাপ্ত হয়। [ফাতহুল
বারী-১০/১৭৫]
এটা না বললেই নয় যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘ওহী’, তা ‘মাতলু’ হোক
বা ‘গায়রে মাতলু’ হোক - কোন বিষয়ের Metaphysical Cause বর্ণনার জন্যই হয়ে থাকে।
কেননা Physical Cause মানুষ নিজস্ব জ্ঞানবুদ্ধি
খাটিয়ে বের করতে পারবে কিন্তু Metaphysical
Cause "ওহী"
ছাড়া জানা সম্ভব নয়। এখন কেউ যদি মেটা Physical
Causeকে
ফিজিক্যাল রিয়েলিটি দিয়ে ব্যাখ্যা করে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করে, সে
হয় বোকা না হয় অজ্ঞ।
মনে করুন আপনি রাস্তায় এক ব্যক্তিকে ঘুষি মেরে
নাক ভোঁতা করতে দেখলেন আরেক ব্যক্তিকে। শুধু এতটুকু পর্যবেক্ষণ দ্বারা আপনি নাক
ভোঁতা হওয়ার Physical Cause হল ঘুষি মারা বুঝতে পারবেন
কিন্তু কেন ঘুষি মারা হল এটি ঐ দুই ব্যক্তির কোন একজনের বর্ণনা ছাড়া শুধু ঘটনা
দেখার দ্বারা জানা সম্ভব নয়।
এখন আপনি যখন প্রথম ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন
কেন ঘুষি মেরেছেন তখন সে জানাল ঐ ব্যক্তিটি তার পকেট কাটতে গিয়ে ধরা পড়েছে।
পুলিশের কাছে দিলে জেল হবে বা কঠিন শাস্তি হবে তাই ঘুষি মেরে হালকা শাস্তি দিয়ে
ছেড়ে দিলাম। এই যে জেলে না দেওয়া বা কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা না করা এটা হল Metaphysical Cause। এখন
কিছু অজ্ঞ ব্যক্তি আছে তারা পুরো বিষয়টি না বুঝে চেঁচিয়ে উঠে জেলে না দেওয়া কিভাবে
মানুষের নাক ভোঁতা করতে পারে, এটি অসম্ভব, অবাস্তব, বিজ্ঞানবিরোধী...এই
জাতীয় কথা বলতে পারে।
মোটকথা বান্দা যখন পাপ কাজ করে তখন তার জন্য
জাহান্নামের শাস্তি তথা আগুন উৎপন্ন করা হয় যেভাবে পূণ্যের কাজ করলে জান্নাতে
নিয়ামত উৎপন্ন করা হয়।
এখন জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে রেহাইয়ের জন্য বান্দাকে এই দুনিয়াতেই লঘু
শাস্তি তথা বিভিন্ন প্রকার কষ্ট দান করেন আল্লাহ তা’আলা।
যা নিম্নের হাদিস থেকে প্রমাণিত হয়ঃ
قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا
مِنْ مُصِيبَة
تُصِيبُ الْمُسْلِمَ إِلاَّ كَفَّرَ اللَّهُ بِهَا عَنْهُ، حَتَّى
الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا ".
অর্থ- আয়িশাহ(রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ "মুসলিম ব্যক্তির উপর যে সকল
বিপদ-আপদ আসে এর দ্বারা আল্লাহ তার পাপ দূর করে দেন। এমনকি যে কাঁটা তার শরীরে
ফোটে এর দ্বারাও।" (মুসলিম ৪৫/১৪, হাঃ ২৫৭২, মুসনাদ
আহমাদ-২৪৮৮২)
সুতরাং জ্বরের কষ্ট হোক বা শীত-গ্রীষ্মের তীব্রতার কষ্ট - এই কষ্টগুলো হচ্ছে
লঘু শাস্তি যার দ্বারা জাহান্নামের কঠিন শাস্তি তথা আগুন কমানো হয়।
নিম্নোক্ত উক্তি এবং হাদিস দ্বারা বিষয়টি একেবারেই পরিষ্কার হয়ে যায়। যেমনঃ
قَالَ نَافِعٌ وَكَانَ عَبْدُ اللهِ يَقُوْلُ اكْشِفْ عَنَّا
الرِّجْزَ
অর্থঃ নাফি‘ (রহঃ) বলেন,
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) তখন (জ্বরের
সময়) বলতেনঃ আমাদের উপর থেকে শাস্তিকে হালকা কর। (সহীহ বুখারী-৫৭২৩)
"
الحمى حظ المؤمن من النار يوم القيامة
"
অর্থঃ জ্বর হল ঈমানদারের জন্য কিয়ামতের দিনের জাহান্নামের আগুনের বদলা বা অংশ।
(সিলসিলা আহাদিস আস সহিহাহ-১৮২১)
শেষকথা হলঃ
কোনো কোনো হাদিস বিশারদের মতে ব্যাপারটি
বাস্তবিক অর্থেই হয়। কিন্তু ব্যাপারটি গায়েবের বিষয়। জ্বরের উত্তাপের দরুণ মানুষ
জাহান্নামের উত্তাপের তীব্রতা থেকে সতর্ক হতে পারে। জ্বরের এই তীব্র গরম
জাহান্নামের প্রখরতার সাথে কিছুটা হলেও সাদৃশ্য রাখে। সে তার জাহান্নামের উত্তাপ
থেকে কিছু অংশ প্রাপ্ত হয়। অন্যান্য হাদিস থেকে এটি প্রমাণিত যে, জ্বরের
দ্বারা বান্দাকে লঘু শাস্তি প্রদান করে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে আল্লাহ
বাঁচিয়ে দেন। মনে রাখবেন--
(জাহান্নামের শাস্তি শুধু উত্তপ্ত আগুন নয়, তীব্র ঠান্ডাও আছে।)
No comments:
Post a Comment
razzakhowlader59@gmil.com