Thursday, August 10, 2023

আল-কুরআনে বর্ণীত নবী-রাসূলের দোয়া-

 


আল-কুরআনে বর্ণীত নবী-রাসূলের দোয়া-

মূল লেখক- ধর্ম শিক্ষক আলিফ হোসেন

সম্পাদনায়- ধর্ম শিক্ষক এম এ রাজ্জাক হাওলাদার

 ১.হযরত আদম ও বিবি হাওয়া (আ.) এর দোয়া:

হযরত আদম ও হাওয়া (আ.) ক্ষমা চেয়ে এভাবে দোয়া করেন-

رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ

অর্থ: “হে আমাদের মহান রব! আমরা আমাদের নিজেদের উপর জুলুম (অন্যায়) করেছি,আপনি যদি আমাদের কে ক্ষমা না করেন এবং রহম (দয়া) না করেন তাহলে অবশ্যই আমরা চরম ক্ষতিগ্ৰস্থদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবো। (সূরা আরাফ-৭:২৩)

২.হযরত ইউনুস (আ.)অনুতপ্ত হয়ে এভাবে দোয়া:

لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ

অর্থ: “হে আল্লাহ! আপনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই,আপনি অতি পবিত্র ও মহান আর অবশ্যই আমি সীমালংঘনকারীদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে পড়েছি।”(সূরা আম্বিয়া-২১:৮৭)

৩.হযরত মূসা (আ.) কয়েকটি দোয়া:

 ()তিনি ক্ষমা চেয়ে এভাবে দোয়া করেন

رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ

অর্থ: “হে আমার মহান রব! আমি না বুঝেএই কাজ করে আমার নিজের উপর অন্যায় করে ফেলেছি ,আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।”(সূরা কাসাস-২৮:১৬)

()তিনি অপরাধীকে সাহায্য করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এভাবে দোয়া করেন।

رَبِّ بِمَا أَنْعَمْتَ عَلَيَّ فَلَنْ أَكُوْنَ ظَهِيْرًا لِلْمُجْرِمِيْنَ

অর্থ: “হে আমার মহান রব! আপনি যেভাবে আমাকে নিয়ামত দিয়ে অনুগ্ৰহ করেছেন,সে অনুযায়ী আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি,আমি কখনো কোন অপরাধী ব্যক্তির জন্য সাহায্য কারী হবোনা।” (সূরা কাসাস-২৮:১৭)

()তিনি জালেম জাতি থেকে বাঁচতে এভাবে দোয়া করেন

رَبِّ نَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِيْنَ

অর্থ: “হে আমার মহান রব! আপনি আমাকে জালেম জাতির জুলুমের হাত থেকে রক্ষা করুন।” (সূরা কাসাস-২৮:২১)

() তিনি আল্লাহকে অভিভাবক মেনে এভাবে দোয়া করেন

أَنْتَ وَلِيُّنَا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الْغَافِرِيْنَ

অর্থ: “হে আল্লাহ! আপনি আমাদের শ্রেষ্ঠ অভিভাবক, অত এব আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন, আমাদের উপর আপনি দয়া করুন,কেননা আপনি শ্রেষ্ঠ ক্ষমাকারী।(সূরা আরাফ-০৭:১৫৫)

()তিনি জ্ঞান বৃদ্ধি ও মৌখিক জড়তা দুর করতে এভাবে দোয়া করেন

رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي (25) وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي (26) وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِي (27) يَفْقَهُوا قَوْلِي

অর্থ: “হে আমার মহান রব!আপনি আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন। আমার কাজ আমার জন্য সহজ করে দিন। আমার জিহবা থেকে জড়তা দূর করে দিন,যাতে অন্যরা আমার কথা বুঝতে পারে।” (সূরা ত্বোয়াহা-২০:২৫-২৮)

৪.হযরত সোলায়মান (আ.) এর দুটি দোয়া:

()তিনি পিতা-মাতা কে নিয়ামত দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এভাবে দোয়া করেন।

رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ

অর্থ: “হে আমার মহান রব!! আপনি আমাকে এবং আমার পিতামাতা কে যে নিয়ামত দান করেছেন আমি যেন বিনয়ের সাথে তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি। আর আমি যেন এমন ভালো কাজ করতে পারি যা আপনি পছন্দ করেন।”(সূরা নমল-২৭:১৯)

() তিনি রাজত্ব চেয়ে অভিনব ভাষায় এভাবে দোয়া করেন

رَبِّ اغْفِرْ لِي وَهَبْ لِي مُلْكًا لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ  

অর্থ: “হে আমার মহান রব! আমি যদি কোন ভুল করে থাকি আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আপনি আমাকে এমন এক সাম্রাজ্য দান করুন,যা আমার পরে আর কেউ কোনদিন পাবেনা। নিশ্চয়ই আপনি মহান দাতা।” (সূরা ছোয়াদ-৩৮:৩৫)

৫.হযরত যাকারিয়া (আ.)দুটি দোয়া:

()হযরত যাকারিয়া (আ.)নিঃসন্তান না হওয়ার জন্য এভাবে দোয়া করেন ।

رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنْتَ خَيْرُ الْوَارِثِيْنَ  

অর্থ: “হে আমার মহান রব! আপনি আমাকে নিঃসন্তান বানিয়ে একা ফেলে রেখে দিবেন না। আপনি তো শ্রেষ্ঠ মালিকানার অধিকারী।(সূরা আম্বিয়া-২১:৮৯)

() তিনি চরিত্র বান সন্তান চেয়ে এভাবে দোয়া করেন

رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيْعُ الدُّعَآءِ

অর্থ: “হে আমার মহান রব! আপনার অনুগ্ৰহের প্রতীক হিসেবে আমাকে একটি চরিত্র বান নেককার সন্তান দান করুন।নিশ্চয়ই আপনি মানুষের প্রার্থনা শ্রবণ করেন।”(সূরা আল-ইমরান-০৩:৩৮)

৬.হযরত আইয়ুব (আ.)রোগ থেকে মুক্তি চেয়ে আকুল প্রানে এ ভাবে দোয়া করেন:

وَأَيُّوبَ إِذْ نَادَى رَبَّهُ أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِيْنَ

অর্থ: “আইয়ুব (আ.)আকুল ভাবে তার প্রভূকে ডেকে বললো,হে আমার রব!আমাকে এক কঠিন অসুখে পেয়ে বসেছে আপনি নিরাময় করুন,কেননা আপনি হচ্ছেন দয়ালু দের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু।”(সূরা আম্বিয়া-২১:৮৩)

৭.হযরত নূহ (আ.)কয়েকটি দোয়া:

 ()হযরত নূহ (আ.)তার মিথ্যাবাদী কওমের বিরুদ্ধে এভাবে সাহায্য চেয়ে দোয়া করেন।

رَبِّ انْصُرْنِي بِمَا كَذَّبُونِ

অর্থ: “হে আমার মহান রব! (প্লাবন হবেনা বলে) ওরা যেভাবে আমাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্থ করলো, আপনি তাদের মোকাবেলায় সেভাবে সাহায্য করে (প্লাবন দিয়ে)দেখিয়ে দিন।” (সূরা মুমিনুন-২৩:২৬)

()তিনি যে বিষয়ে জ্ঞান নেই সেবিষয়ে কিছু না চাওয়ার জন্য এভাবে দোয়া করেন।

رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ

অর্থ: “হে আমার মহান রব! বে বিষয় সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান নেই সেই ব্যাপারে কিছু চাওয়া থেকে আমি অবশ্যই আপনার কাছে আশ্রয় চাই। (সূরা হুদ-১১: ৪৭)

()তিনি পিতা-মাতা ও সব মুমিন দের জন্য ক্ষমা চেয়ে এভাবে দোয়া করেন

رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَنْ دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ

অর্থ: “হে আমার মহান রব! আপনি আমাকে, আমার পিতামাতা কে এবং যারা আপনার উপর ঈমান এনে এই ঘরে আশ্রয় নিয়েছে সেই সব মুনিন মুমিনাদের কে ক্ষমা করে দিন।” (সূরা নূহ-৭১:২৮)

() তিনি নৌকা থেকে নিরাপদ স্থানে নামার জন্য এভাবে দোয়া করেন।

رَبِّ أَنْزِلْنِي مُنْزَلًا مُبَارَكًا وَأَنْتَ خَيْرُ الْمُنْزِلِيْنَ

অর্থ: “হে আমার মহান রব! আপনি আমাকে নৌকা থেকে জমিনের নিরাপদ কোন স্থানে বরকতের সাথে নামীয়ে দিন। একমাত্র আপনিই আমাকে শান্তির সাথে কোথাও নামীয়ে দিতে পারেন।” (সূরা মুমিনুন-২৩:২৯)

৮.হযরত শোয়াইব (আ.) উত্তম ফায়সালা চেয়ে এভাবে দোয়া:

رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنْتَ خَيْرُ الْفَاتِحِيْنَ

অর্থ: “হে আমাদের মহান রব!আমাদের ও আমাদের জাতির মাঝে যে সমস্যা আছে আপনি তার একটা সঠিক ফায়সালা দান করুন।কেননা আপনি ই শ্রেষ্ঠ ফায়সালা দান কারী।” (সূরা আরাফ-০৭:৮৯)

৯.হযরত ইব্রাহীম (আ.)কয়েকটি দোয়া:

 ()তিনি মক্কা শহর কে নিরাপদ রাখার ও সন্তানদেরকে মূর্তি পূজা থেকে বিরত রাখার জন্য এভাবে দোয়া করেন

رَبِّ اجْعَلْ هَذَا الْبَلَدَ آمِنًا وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَنْ نَعْبُدَ الْأَصْنَامَ

অর্থ: “হে আমার মহান রব! এই মক্কা শহর কে শান্তি ও নিরাপত্তার শহরে পরিণত করুন।আমাকে ও আমার সন্তান দেরকে মূর্তি পূজা থেকে দুরে রাখুন।(সূরা ইব্রাহীম-১৪:৩৫)

()তিনি একজন নেককার সন্তান চেয়ে এভাবে দোয়া করেন

رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِيْنَ  

অর্থ: “হে আমার মহান রব! আপনি আমাকে একজন নেককার (আদর্শবান) সন্তান দান করুন।” (সূরা সাফফাত-৩৭:১০০)

()তিনি জ্ঞান চেয়ে এবং ভালো মানুষ হওয়ার আবেদন করে এভাবে দোয়া করেন

رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِيْنَ

অর্থ: “হে আমার মহান রব! আপনি আমাকে জ্ঞান দান করুন এবং ভালো মানুষদের মাঝে শামীল করুন।” (সূরা শোয়ারা-২৬:৮৩)

()তিনি নিজে ও সন্তান দেরকে নামাজ প্রতিষ্ঠা কারী এবং পিতা-মাতা সহ সব মুমিনদের জন্য ক্ষমা চেয়ে এভাবে দোয়া করেন।

رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيْمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ (40) رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ

অর্থ: “হে আমার মহান রব! আপনি আমাকে এবং আমার সন্তানদের মধ্যথেকে নামাজ প্রতিষ্ঠা কারী বানিয়ে দিন,হে আমাদের রব, আমার দোয়া কবুল করুন।

হে আমাদের রব!যেদিন চুড়ান্ত হিসাব গ্ৰহন করবেন,সেদিন আমাকে আমার পিতামাতা কে এবং সকল ঈমান দারকে ক্ষমা করে দিন।” (সূরা ইব্রাহীম-১৪:৪০-৪১)

১০.হযরত ইব্রাহীম ও ইসমাইল (আ.)নিজেদের কে ও পরবর্তী বংশধরদেরকে আললাহর অনুগত বান্দা হওয়ার জন্য এভাবে দোয়া:

رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُسْلِمَةً لَكَ

অর্থ: “হে আমাদের মহান রব! আপনি আমাদের উভয়কে এবং আমাদের পরবর্তী বংশধর দেরকে আপনার অনুগত মুসলিম বান্দা হিসেবে কবুল করুন।” (সূরা বাকারা-০২:১২৮)

১১.হযরত লুৎ (আ.)দুটি দোয়া:

 () হযরত লুৎ (আ.) নিজের পরিবার পরিজন কে তার জাতির ঘৃনীত কাজ থেকে বাঁচার জন্য যেভাবে দোয়া করেন।

رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ  

অর্থ: “হ আমার মহান রব! আমাকে ও আমার পরিজন কে আমার জাতি যে সব ঘৃনীত অপকর্ম করে তা থেকে হেফাজত করুন।” (সূরা শোয়ারা-২৬:১৬৯)

()তিনি বিপর্যয় সৃষ্টি কারী জাতির বিরুদ্ধে সাহায্য চেয়ে এভাবে দোয়া করেন।

رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِيْنَ

অর্থ: “হে আমার মহান রব! এই সমাজ বিধবংসী বিপর্যয় সৃষ্টি কারী জাতির বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন।” (সূরা আনকাবুত-২৯:৩০)

১২.হযরত ইয়াকুব (আ.)তার কঠিন অসহায় অবস্থায় যেভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া:

إِنَّمَا أَشْكُو بَثِّي وَحُزْنِي إِلَى اللَّهِ  

অর্থ: “আমি আমার অসহনীয় বেদনা দুঃখ কষ্ট ও দুশ্চিন্তা শুধু মাত্র আল্লাহর কাছে ই নিবেদন করছি।” (সূরা ইউসুফ-১২:৮৬)

১৩.হযরত ইউসুফ (আ.)যে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামত লাভ করেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে যেভাবে দোয়া:

رَبِّ قَدْ آتَيْتَنِي مِنَ الْمُلْكِ وَعَلَّمْتَنِي مِنْ تَأْوِيلِ الْأَحَادِيثِ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنْتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ   

অর্থ: “হে আমার মহান রব! আপনি আমাকে রাষ্ট্র ক্ষমথা দান করেছেন এবং স্বপ্নের ব্যাক্ষা সহ বহু বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছেন, হে আকাশ ও জমিনের স্রষ্টা দুনিয়া ও আখেরাতে আপনি ই একমাত্র আমার অভিভাবক।” (সূরা ইউসুফ-১২:১০১)

 

১৪.হযরত ইসা (আ.)দুটি দোয়া:

() হযরত ইসা (আ.)উত্তম রিজিক চেয়ে যেভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।

رَبَّنَا أَنْزِلْ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِنَ السَّمَآءِ تَكُونُ لَنَا عِيدًا لِأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِنْكَ وَارْزُقْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّازِقِيْنَ  

অর্থ: “হে আমাদের মহান রব! আপনি আমাদের জন্য আসমান থেকে খাবার সজ্জিত খাজাঞ্চি পাঠিয়ে দিন,এটি হবে আমার জন্য আমার পূর্ব বর্তী ও পরবর্তী দেরজন্য আনন্দ উৎসব।এবং আপনার পক্ষ থেকে কুদরতের একটি নিদর্শন। আপনি আমাদেরকে রিজিক দান করুন,কেননা আপনি তো শ্রেষ্ঠ রিজিক দাতা।” (সূরা মায়িদা-০৫:১১৪)

() তিনি তার অনুসারীদের অপরাধের শাস্তি ক্ষমা চেয়ে যেভাবে দোয়া করেন।

إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ  

অর্থ: “আজ আপনি যদি তাদের জন্য তাদেরকে শাস্তি দেন দিতে পারেন কারন তারা তো আপনার ই বান্দা, আর যদি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন সেটা হবে আপনার অনুগ্ৰহ,আর অবশ্যই আপনি বিপুল ক্ষমতাশালী মহা বিজ্ঞ।” (সূরা মায়িদা-০৫:১১৮)

১৫.হযরত মুহাম্মদ (সা.)তিনটি দোয়া:

 () তিনি দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যান চেয়ে ও জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য যেভাবে দোয়া করেন।

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

অর্থ: “হে আমাদের মহান রব! আপনি আমাদের কে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যান দান করুন এবং আমাদের কে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন।” (সূরা বাকারা-০২:২০১)

() তিনি সবখানে সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে এবং বের হতে এবং ঔএকটি সাহায্য কারী রাষ্ট্র শক্তি চেয়ে যেভাবে দোয়া করেন।

رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيْرًا

অর্থ: “হে আমার মহান রব! যেখানেই আমার আগমন ঘটে সে আগমন কে কল্যানের সাথেই ঘটাবেন আর যেখানেই প্রস্থান ঘটে সে প্রস্থান কেও সত্যের সাথেই ঘটাবেন।আর আপনার পক্ষ থেকে আমার জন্য একটি রাষ্ট্র শক্তি দান করুন।” (সূরা বনী ইসরাঈল-১৭:৮০)

() তিনি তাঁকে কোন জালেম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য এভাবে দোয়া করেন।

رَبِّ فَلَا تَجْعَلْنِي فِي الْقَوْمِ الظَّالِمِيْنَ

অর্থ: “হে আমার মহান রব! আপনি আমাকে কখনো জালেম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করে আজাবের সন্মুখিন করবেন না।” (সুরা মুমিনুন-২৩:৯৪)

সুতরাং আসুন! আমরা ও নবী রাসূলদের অনুসৃত পথ ধরে নিজ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যান চেয়ে প্রান খুলে ফরিয়াদ করি, মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের সবাইকে সেই তৌফিক দান করুন আমীন।

 

No comments:

Post a Comment

razzakhowlader59@gmil.com