থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন ইসলামসম্মত নয়,
সম্পুর্ন হারাম
-এম এ
রাজ্জাক হাওলাদার
প্রতিটি বছরের জানুয়ারির প্রথম দিন থার্টি ফাস্ট নাইট। খ্রিস্টিয়
বছর তথা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার হিসেবে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ দিবাগত রাত। এ রাতের
১২টা ১মিনিটকে ‘থার্টি ফাস্ট নাইট’ মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করা হয়। বছরের শেষ রাতের এ মুহূর্তটি
উদযাপন একটি খ্রিস্টিয় সংস্কৃতি। বিশ্বব্যাপী ইসলামিক স্কলাররা ‘থার্টি ফাস্ট নাইট’ উদযাপনকে হারাম বলে আখ্যায়িত করেছেন।
থার্টি ফাস্ট নাইট:
থার্টি ফাস্ট নাইট কোনো ইসলামিক সংস্কৃতি নয়। মুসলিম
সভ্যাতা ও সংস্কৃতিতে এটি একটি অপসংস্কৃতি। সে কারণে একজন রুচিশীল ও সচেতন ঈমানদার
মুসলমান কখনো থার্টি ফাস্ট নাইট সংস্কৃতি উদযাপন করতে পারে না।
থার্টি ফাস্ট নাইট খ্রিস্টিয় সংস্কৃতি হওয়ার কারণেই ইসলামিক
স্কলাররা এটিকে হারাম ঘোষণা দিয়েছেন। অন্য ধর্মের সংস্কৃতি-উৎসব মুসলমানদের জন্য
উদযাপন করা বৈধ নয়। বিজাতীয় সংস্কৃতি উদযাপনে কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশনাও এমনই।
আল্লাহ তাআলা বলেন-‘যে ব্যক্তি ইসলাম (ইসলামি রীতিনীতি) ছাড়া অন্য কোনো ধর্মের
অনুসরণ করবে কখনো তার সেই আমল গ্রহণ করা হবে না। আর পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্তদের
অন্তর্ভুক্ত হবে।’
(সুরা আল-ইমরান-৩:৮৫)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি অন্য জাতির সঙ্গে আচার-আচরণে, সভ্যতা-সংস্কৃতিতে সামঞ্জস্য গ্রহণ করবে সে তাদের দলভুক্ত
বলে বিবেচিত হবে।”
(আবু দাউদ)
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করে আমরা যাদেরকে বন্ধুরূপে
গ্রহণ করছি,
তারা প্রকৃতপক্ষে আমাদের
শত্রু। তারা কখনো আমাদের বন্ধু হবে না, যাবত আমরা আমাদের দীন ত্যাগ করে তাদের ধর্মের অনুসরণ না
করি। তারা আমাদের দীন ও নবীকে নিয়ে উপহাস করে। ইরশাদ হচ্ছে:
یٰۤاَیُّہَا
الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوا الَّذِیۡنَ اتَّخَذُوۡا دِیۡنَکُمۡ ہُزُوًا
وَّ لَعِبًا مِّنَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ وَ الۡکُفَّارَ
اَوۡلِیَآءَ ۚ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ
“হে
মুমিনগণ,
তোমরা তাদেরকে বন্ধুরূপে
গ্রহণ করো না,
যারা তোমাদের দ্বীনকে উপহাস
ও খেল-তামাশারূপে গ্রহণ করেছে, তাদের
মধ্য থেকে তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে ও কাফিরদেরকে। আর আল্লাহর
তাকওয়া অবলম্বন কর,
যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক।”(সূরা মায়িদা-৫:৫৭)
অবিশ্বাসীদের
সাথে ঘনিষ্ঠতা অন্তরের ব্যাধি।
فَتَرَی
الَّذِیۡنَ فِیۡ قُلُوۡبِہِمۡ مَّرَضٌ یُّسَارِعُوۡنَ فِیۡہِمۡ یَقُوۡلُوۡنَ
نَخۡشٰۤی اَنۡ تُصِیۡبَنَا دَآئِرَۃٌ ؕ فَعَسَی اللّٰہُ اَنۡ یَّاۡتِیَ
بِالۡفَتۡحِ اَوۡ اَمۡرٍ مِّنۡ عِنۡدِہٖ فَیُصۡبِحُوۡا عَلٰی مَاۤ اَسَرُّوۡا
فِیۡۤ اَنۡفُسِہِمۡ نٰدِمِیۡنَ
“সুতরাং
তুমি দেখতে পাবে,
যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে, তারা কাফিরদের মধ্যে (বন্ধুত্বের জন্য) ছুটছে। তারা বলে, ‘আমরা আশঙ্কা করছি যে, কোন বিপদ আমাদেরকে আক্রান্ত করবে’। অতঃপর হতে
পারে আল্লাহ দান করবেন বিজয় কিংবা তাঁর পক্ষ থেকে এমন কিছু, যার ফলে তারা তাদের অন্তরে যা লুকিয়ে রেখেছে, তাতে লজ্জিত হবে।” (সূরা মায়িদা-৫:৫২)
মুসলিমদের জন্য এ দিবসটি উদযাপন হারাম। কারণ!
নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
(এক) বিধর্মীদের সঙ্গে সাদৃশ্য
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের রীতি চালু হয়েছে খ্রিষ্ট
জগতে। সুতরাং এ দিবস পালনের মাধ্যমে বিধর্মীদের সাদৃশ্য অর্জন করা হয়। ইসলামবিজাতীয়
সংস্কৃতি পালন করাকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে।
আল্লাহ
তাআলা বলেন,
‘নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট ইসলামই
একমাত্র মনোনীত দীন।
اِنَّ
الدِّیۡنَ عِنۡدَ اللّٰہِ الۡاِسۡلَامُ ۟ وَ
“নিশ্চয়
আল্লাহর নিকট দীন হচ্ছে ইসলাম।” (সুরা আল
ইমরান-৩:১৯)
তিনি আরও
বলেন,
وَ
مَنۡ یَّبۡتَغِ غَیۡرَ الۡاِسۡلَامِ دِیۡنًا فَلَنۡ یُّقۡبَلَ مِنۡہُ ۚ وَ ہُوَ
فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ
“যে
ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্মের অনুসরণ করবে কখনো তার সেই আমল গ্রহণ করা হবে
না। আর পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সুরা আল ইমরান-৩:৮৫)
আল্লাহর
রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
مَنْ
تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
“যে
ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করলো; সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।” (আবু দাউদ-৪০৩১)
(দুই) আঁটসাঁট পোশাক পরা
তরুণ-তরুণীরা
নগ্নপ্রায় পোশাক পরে। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ প্রসঙ্গে বলেন,
ونِساءٌ
كاسِياتٌ عارِياتٌ مُمِيلاتٌ مائِلاتٌ، رُؤُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ البُخْتِ
المائِلَةِ، لا يَدْخُلْنَ الجَنَّةَ، ولا يَجِدْنَ رِيحَها، وإنَّ رِيحَها
لَيُوجَدُ مِن مَسِيرَةِ كَذا وكَذا
“যে
নারীরা পোশাক পরা সত্ত্বেও উলঙ্গ, পরপুরুষকে
আকৃষ্ট করে,
নিজেরাও আকৃষ্ট হয়, যাদের মাথা বাকা উঁচু কাঁধ বিশিষ্ট উটের মতো; তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি জান্নাতের
সুগন্ধিও পাবে না।”
(সহিহ মুসলিম-২১২৮)
(তিন) ট্যাটু আঁকা
ট্যাটু বা
উল্কি অঙ্কন বলতে বুঝায়,
শরীরের চামড়ায় সুঁই বা এ
জাতীয় কোনো কিছু দিয়ে ক্ষত করে তাতে বাহারি রং দিয়ে নকশা করা। ইসলামের দৃষ্টিতে
ট্যাটু আঁকা হারাম।
উমর (রা.)
বর্ণনা করেন,
لَعَنَ
النبيُّ ﷺ الواصِلَةَ والمُسْتَوْصِلَةَ، والواشِمَةَ والمُسْتَوْشِمَةَ
“যে নারী নকল চুল ব্যবহার করে, অন্য নারীকে নকল চুল এনে দেয়, নিজ শরীরে উল্কি অঙ্কন করে নেয় কিংবা অন্যের শরীরে উল্কি
অঙ্কন করে দেয়,
আল্লাহর রাসুল (সা.) তাদের
অভিশাপ দিয়েছেন।” (সহীহ বুখারী-৫৯৪০)
(চার) আতশবাজি, পটকাবাজি
আনন্দের
আতিশয্যে মধ্যরাত থেকে শুরু হয় আতশবাজি ও পটকাবাজির মহড়া। বিভিন্ন সড়কে, ভবনের ছাদে, প্রকাশ্যে স্থানে উঁচু আওয়াজের পটকা ফুটানো হয়, এ ধরনের অসুস্থ বিনোদনের মাধ্যমে জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক ও ভীতি
সৃষ্টি হয়। সাধারণ জনগণ বিরক্ত হোন এবং হৃদরোগীরা ভীষণ কষ্ট পান। আল্লাহ তাআলা এ প্রসঙ্গে বলেন,
وَ
الَّذِیۡنَ یُؤۡذُوۡنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ وَ الۡمُؤۡمِنٰتِ بِغَیۡرِ مَا
اکۡتَسَبُوۡا فَقَدِ احۡتَمَلُوۡا بُہۡتَانًا وَّ اِثۡمًا مُّبِیۡنًا
“যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের কষ্ট দেয়; তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে।” (সুরা আল
আহজাব-৩৩:৫৮)
(পাঁচ) গান-বাজনা করা
ডিজে
পার্টি,
ফ্যাশন শো, ফায়ার প্লে, কনসার্ট, অশ্লীল
নৃত্য,
ফানুস উড়ানো ইত্যকার কাজগুলো
ছাড়া কোনো বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয় না। অথচ আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَ
مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّشۡتَرِیۡ لَہۡوَ الۡحَدِیۡثِ لِیُضِلَّ عَنۡ سَبِیۡلِ
اللّٰہِ بِغَیۡرِ عِلۡمٍ ٭ۖ وَّ یَتَّخِذَہَا ہُزُوًا ؕ اُولٰٓئِکَ لَہُمۡ عَذَابٌ
مُّہِیۡنٌ
“এক শ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে পথভ্রষ্ট
করার উদ্দেশ্যে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং তা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করে। এদের জন্যে রয়েছে অবমাননাকর
শাস্তি।” (সুরা লুকমান-৩১:৬)
আল্লাহর রাসুল
(সা.) বলেন,
لَيَشْرَبَنَّ
نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي الْخَمْرَ يُسَمُّونَهَا بِغَيْرِ اسْمِهَا يُعْزَفُ عَلَى
رُءُوسِهِمْ بِالْمَعَازِفِ وَالْمُغَنِّيَاتِ يَخْسِفُ اللَّهُ بِهِمُ الأَرْضَ
وَيَجْعَلُ مِنْهُمُ الْقِرَدَةَ وَالْخَنَازِيرَ
“আমার উম্মতের কিছু লোক মদের নাম পরিবর্তন করে— তা পান করবে। আর তাদের মাথার উপর বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকা
রমনীদের গান বাজতে থাকবে। আল্লাহ তাআলা তাদের পৃথিবীতে ধসিয়ে দেবেন।” (ইবনে মাজাহ-৪০২০; সহিহ ইবনু
হিব্বান-৬৭৫৮)
(ছয়) মাদক সেবন করা
এ রাতে
তরুণ-তরুণীরা মাদক রাজ্যে অবগাহন করে। মাতাল হয়ে ঘটায় নানা অপকর্ম। আল্লাহ তাআলা
মাদক থেকে নিষেধ করে বলেন,
یٰۤاَیُّہَا
الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّمَا الۡخَمۡرُ وَ الۡمَیۡسِرُ وَ الۡاَنۡصَابُ وَ
الۡاَزۡلَامُ رِجۡسٌ مِّنۡ عَمَلِ الشَّیۡطٰنِ فَاجۡتَنِبُوۡہُ لَعَلَّکُمۡ
تُفۡلِحُوۡنَ
‘মুমিনগণ, মদ-জুয়া, মূর্তিপূজার বেদি, ভাগ্য নির্ণায়ক শর ঘৃণ্য বস্তু, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।”
اِنَّمَا
یُرِیۡدُ الشَّیۡطٰنُ اَنۡ یُّوۡقِعَ بَیۡنَکُمُ الۡعَدَاوَۃَ وَ الۡبَغۡضَآءَ
فِی الۡخَمۡرِ وَ الۡمَیۡسِرِ وَ یَصُدَّکُمۡ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰہِ وَ عَنِ
الصَّلٰوۃِ ۚ فَہَلۡ اَنۡتُمۡ مُّنۡتَہُوۡنَ
“মদ ও
জুয়ার মাধ্যমে শয়তান তোমাদের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে চায়, চায় আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে তোমাদের বাধা দিতে। কাজেই
তোমরা কি এসব থেকে বিরত হবে না? ” (সুরা
মায়েদা-৫:৯০-৯১)
(সাত) জেনা ব্যভিচার
এ রাতে
যুবক-যুবতীরা অবাধে মেলামেশা ও অপকর্মে লিপ্ত হয়। আবাসিক হোটেল, কমিউনিট সেন্টার, পানশালা, নাচঘর, সমুদ্র সৈকত, নাইট ক্লাবগুলো পরিণত হয় একেকটি অঘোষিত পতিতালয়ে। সতীত্ব
হারায় আমাদের উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা। আল্লাহ তাআলা জেনা ব্যভিচারের নিকটবর্তী
হতেও বারণ করে বলেন,
وَ لَا
تَقۡرَبُوا الزِّنٰۤی اِنَّہٗ کَانَ فَاحِشَۃً ؕ وَ سَآءَ سَبِیۡلًا
“তোমরা
ব্যভিচারের কাছে যেয়ো না,
নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ
পথ।”
(সুরা বানি ইসরাইল-১৭:৩২)
নবিজি
(সা.) বলেন,
ألا لا
يخلون رجل بامرأة إلا كان ثالثهما الشيطان
“অবশ্যই
কোন পুরুষ কোন নারীর সাথে নির্জনে একত্রিত হলে তাদের তৃতীয়জন হয় শয়তান।” (তিরমিজি-২১৬৫)
(আট) অর্থ অপচয়
এ রাত
উপলক্ষে যেসব আয়োজন করা হয় সর্বক্ষেত্রেই থাকে অর্থ-অপচয়ের প্লাবন। অথচ ইসলাম যাবতীয়
অর্থ অপচয় থেকে বারণ করেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
یٰبَنِیۡۤ
اٰدَمَ خُذُوۡا زِیۡنَتَکُمۡ عِنۡدَ کُلِّ مَسۡجِدٍ وَّ کُلُوۡا وَ اشۡرَبُوۡا وَ
لَا تُسۡرِفُوۡا ۚ اِنَّہٗ لَا یُحِبُّ الۡمُسۡرِفِیۡنَ
“আদম সন্তান, তোমরা প্রত্যেক সালাতের সময় সুন্দর পোশাক পরো। খাও, পান করো। কিন্তু অপচয় করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীদের
ভালবাসেন না।”
(সুরা আল আরাফ-৭:৩১)
(নয়) সময়ের অপচয়
ইসলাম
ধর্মানুযায়ী মানুষের প্রতিটি মুহূর্তই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা থার্টি ফাস্ট নাইট
উদযাপন করে যে সময়গুলো নষ্ট করছি সেগুলো কি কখনও ফিরে আসবে? এ সময়টিতে আত্মপর্যালোচনা করার প্রয়োজন ছিল, বিগত বছরটা কতটুকু উৎপাদশীল ও কল্যাণকর কাজে ব্যয় করতে
পেরেছি?
আমি তো দিনদিন মৃত্যুর দিকে
ধাবিত হচ্চি। সুতরাং আগামীর দিনগুলো যেন এরচেয়েও বেশি ফলপ্রসূ হয়।
(দশ) শিরকযুক্ত স্লোগান
এ রাতে
বর্ষবরণ উপলক্ষে শিরকযুক্ত স্লোগান দেওয়া হয়। লোকজন বলে, ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নি স্নানে সূচি হোক ধরা।’
এ
স্লোগানে অগ্নিপূজকদের আগুন দ্বারা পবিত্র হওয়ার ভ্রান্ত বিশ্বাসের প্রতিধ্বনিত
হয়। যা শিরক। আল্লাহ তাআলা বলেন,
اِنَّ
اللّٰہَ لَا یَغۡفِرُ اَنۡ یُّشۡرَکَ بِہٖ وَ یَغۡفِرُ مَا دُوۡنَ ذٰلِکَ لِمَنۡ
یَّشَآءُ ؕ وَ مَنۡ یُّشۡرِکۡ بِاللّٰہِ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلٰلًۢا بَعِیۡدًا
“নিশ্চয়
আল্লাহ তাআলা তার সঙ্গে অংশীস্থাপনকারীকে ক্ষমা করবেন না।” (সুরা আন নিসা-৪: ১১৬)
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের
এ বিষয়ের অন্যায় থেকে হেফাজত করেন।

No comments:
Post a Comment
razzakhowlader59@gmil.com