কুনুতে নাজেলা
-এম এ রাজ্জাক হাওলাদার
ইসলাম এবং মুসলমানেরা বিশেষ কোনো বিপদে পড়লে
বিপদ থেকে মুক্তির জন্য কুনুতে নাজেলা পড়ার নিয়ম রয়েছে। শত্রুর থেকে রক্ষা, শত্রুর হেদায়েত কামনা অথবা
তার ধ্বংস কামনার জন্য কুনুতে নাজেলা পড়া মুস্তাহাব। তবে কঠিন বিপদ, যুদ্ধকালীন সময় বা এমন বিপদ সংকুল পরিস্থিতিতেই শুধু কুনুতে নাজেলা পড়ার
নিয়ম।
রাসূল (সা.) বিপদের সময় ফজরের নামাজেরর
দ্বিতীয় রাকাতে রুকু থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন সময় কুনুতে নাজেলা পড়েছেন। হাদীসে
এসেছে,
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَاحِدِ بْنُ
زِيَادٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، قَالَ: سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنِ
القُنُوتِ، فَقَالَ: قَدْ كَانَ القُنُوتُ قُلْتُ: قَبْلَ الرُّكُوعِ أَوْ
بَعْدَهُ؟ قَالَ: قَبْلَهُ، قَالَ: فَإِنَّ فُلاَنًا أَخْبَرَنِي عَنْكَ أَنَّكَ
قُلْتَ بَعْدَ الرُّكُوعِ، فَقَالَ: «كَذَبَ إِنَّمَا قَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ الرُّكُوعِ شَهْرًا، أُرَاهُ كَانَ بَعَثَ
قَوْمًا يُقَالُ لَهُمْ القُرَّاءُ، زُهَاءَ سَبْعِينَ رَجُلًا، إِلَى قَوْمٍ مِنَ
المُشْرِكِينَ دُونَ أُولَئِكَ، وَكَانَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهْدٌ، فَقَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهْرًا يَدْعُو عَلَيْهِمْ»
মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... আসিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ)-কে কুনূত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি
বললেন, কুনূত অবশ্যই পড়া হত। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, রুকূ’র আগে, না পরে? তিনি বললেন, রুকুর আগে। আসিম (রাহঃ) বললেন, অমুক ব্যক্তি আমাকে আপনার বরাত দিয়ে বলেছেন যে, আপনি
বলেছেন, রুকুর পরে। তখন আনাস (রাযিঃ) বলেন, সে ভুল বলেছে। রাসূল (সা.) রুকূর পরে একমাস ব্যাপি কুনূত পাঠ করেছেন। আমার
জানামতে, তিনি সত্তর (৭০) জন সাহাবীর একটি দল, যাদের কুররা (অভিজ্ঞ ক্বারীগণ) বলা হতো, মুশরিকদের
কোন এক কওমের উদ্দেশ্যে পাঠান। এরা সেই কওম নয়, যাদের
বিরুদ্ধে রাসূল (সা.) বদদু'আ করেছিলেন। বরং তিনি একমাসব্যাপি
কুনূতে সেসব কাফিরদের জন্য বদদু'আ করেছিলেন যাদের সাথে তার
চুক্তি ছিল এবং তারা চুক্তি ভঙ্গ করে ক্বারীগণকে হত্যা করেছিল। সুত্র: আল জামিউস
সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ (সহীহ বুখারী) হাদীস নং: ৯৪৮ আন্তর্জাতিক নং: ১০০২। হাদীসের লিংকঃ https://muslimbangla.com/hadith/948
কুনুতে নাজেলা পড়ার নিয়ম
ফজরের নামাজের ফরজের দ্বিতীয় রাকাতে রুকু
থেকে উঠে ইমাম আওয়াজ করে কুনুতে নাজেলা পড়বেন, এ সময় মুসল্লিরা আস্তে আস্তে আমীন বলবেন।
দোয়া শেষে নিয়ম অনুযায়ী নামাজের অবশিষ্ট সেজদা, শেষ বৈঠক
ইত্যাদির মাধ্যমে নামাজ শেষ করবেন।
কুনুতে নাজেলা: মোমিনের শ্রেষ্ঠ
হাতিয়ার
মুফতি উবাইদুল্লাহ
তারানগরী : ঈমান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। প্রকৃত ঈমানদারের দ্বারা
কখনো পৃথিবীর কেউ কষ্ট পায় না। বরং বিশ্ব আলোকিত হয়। শান্তিতে ভরে যায়। তাই
আমাদের প্রকৃত মোমিন হতে হবে। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন; প্রকৃত মোমিন সেই যার জবান ও হাত থেকে অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে। সব মুসলমান
ভাই ভাই। মুসলিমরা সবাই একই দেহের মত। দেহের কোন অঙ্গে চোট বা ব্যথা লাগলে যেমন
সারা শরীর ব্যথিত হয়ে যায় তেমনি পৃথিবীর কোথাও মুসলমান আক্রান্ত হলে সবারই তাদের
ব্যথায় ব্যথিত ও শোকে শোকাহত হওয়া উচিত। বিপদে-আপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে
দেওয়া উচিত। সামর্থ্যের সবটুকু করা উচিত। দোয়া ও প্রয়োজনে কুনুতে নাজেলাও পড়া
যেতে পারে। কুনুতে নাজেলা মোমিনের শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার। নবীজির প্রতিষ্ঠিত সুন্নাহ।
চল
কুনুতের অর্থ:
কুনুত অর্থ অনুসরণ করা, ইবাদত করা, দোয়া করা, নামাজে
দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করা। পরিভাষায় সঙ্কটকালে কারো জন্য দোয়া বা বদদোয়ার উদ্দেশে
পাঠের নির্দিষ্ট দোয়া। যাকে কুনুতে নাজেলা বলা হয়। (মাজাহেরে হক ২/ ২০১পৃ.)
কুনুত দুই প্রকার: ১.কুনুতে রাতেবা ২.কুনুতে নাজেলা
রাতেবা যা প্রতিদিন পড়া হয়। শুধু বিতির নামাযে। তৃতীয়
রাকাতে রুকুর আগে। শুধু রমজানে বিতিরের নামাজ জামায়াতের সঙ্গে পড়ার নিয়ম
রয়েছে। এগারো মাস দোয়ায়ে কুনুত পড়তেন। (মালাবুদ্ধা মিনহু)
কুনুতে নাজেলা পাঠের সময়:
ইসলাম ও মুসলমান বিশেষ কোনো বিপদ বা দুর্যোগে পড়লে বিপদ
থেকে মুক্তির জন্য কুনুতে নাজেলা পড়ার নিয়ম রয়েছে। শত্রুর নির্মম আগ্রাসন থেকে
রক্ষা, শত্রুর হেদায়েত কিংবা ধ্বংস কামনার জন্য কুনুতে নাজেলা পড়া
মুস্তাহাব। বিশেষ মুহূর্ত অর্থাৎ কঠিন বিপদ, যুদ্ধকালীন সময় বা এমন বিপদ সংকুল পরিস্থিতিতেই শুধু কুনুতে নাজেলা পড়ার নিয়ম।
নবীজির কুনুতে নাজেলা পাঠ:
ছোট একটি ঘটনা রয়েছে তা হলো: ৪র্থ হিজরির সফর মাসে বীরে মাঊনার ঘটনায় ৭০ জন প্রখ্যাত সাহাবি যারা ছিলেন
আসহাবে সুফ্ফার নিবেদিত প্রাণ সদস্য। কুরআনের হাফেজ আলেম। দিনে কাঠ বিক্রি করে
খাবার জোগাড় করতেন। রাতে কুরআন গবেষণা করতেন। রা'ল, যাকওয়ান, উসাইয়া গোত্রসমূহের
বিশ্বাসঘাতকতায় শাহাদাত বরণ করলে নবীজি অনেক কষ্ট পান। এবং তাদের বদদোয়ার জন্য কুনুতে নাজেলা পড়েন।
তাবেয়ি আসেম আহ্ওয়াল (রহ.) বলেন, একদা আমি হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) কে নামাজের দোয়ায়ে কুনুত সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা করলাম, এটি রুকুর আগে না পরে? তিনি বলেন রুকুর পূর্বে। রাসূল (সা.) কেবল এক মাসই রুকুর পরে কুনুত পড়ে
ছিলেন। ব্যাপার এই ছিল যে, একবার তিনি (বীরে মাঊনার দিকে) ৭০ জন সাহাবিকে প্রেরণ করে
ছিলেন, যাদেরকে কারি সাহেবান (কুরআনের আলেম) বলা হত। তাঁরা সেখানে
নিহত হন। অতপর রাসূল সা. এক মাস যাবৎ রুকুর পরে কুনুত পড়েছেন এবং তাদের জন্য
বদদোয়া করেছেন।(বুখারী, মুসলিম, মোয়াত্তা, মেশকাত ২/
১১৪)
নাজেলার বিধান রহিত হয়নি:
কুনুতে নাজেলা পড়ার বিধান রহিত বা বাতিল হয়নি এখনো
মুসলমানদের বিপদ বা দুর্যোগকালে ফজরের নামাজে কুনুতে নাজেলা পড়ার নিয়ম রয়েছে।
কেয়ামত পর্যন্তই এই বিধান থাকবে। (এলাউস সুনান– ৬/৮১)
দুর্যোগকালেই "কুনুতে
নাজেলা" পড়তে হয়:
কুনুতে নাজেলা সবসময় পড়ার বিধান নেই। বিপদ মুসিবত ও
সঙ্কটকালেই নাজেলা পাঠের নিয়ম। হজরত আবু হুরায়রা( রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের নামাজের সময়
সবসময় কুনুত (নাজেলা) পড়তেন না। কোন জাতির জন্য দোয়া বা বদদোয়ার প্রয়োজন হলে ফজরের
নামাজের দ্বিতীয় রাকাতে রুকু থেকে মাথা উঠানোর সময় তিনি কুনুতে নাজেলা পড়তেন।
(সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস, ১০৯৭, নসবুর রায়াহ, আল মুসনাদুল জামে, আসারুস সুনান, ২/২০)
অন্য হাদীসে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয় রাসূল (সা.) ফজরের নামাজের সময় কুনুত পড়তেন না, শুধুই একমাস পড়েছিলেন। এর আগে বা পরে আর এমনটি করতে দেখা যায়নি। সে সময় তিনি
কিছু মুশরিকদের বদদোয়া করার জন্য তা পড়েছিলেন। (মুসনাদে আবী হানীফা বিরিওয়াতে
হিসকাফী, হাদীস, ৩৪)
হযরত আনাস রা. হতে বর্ণিত, নিশ্চয়ই নবী করীম সা. মাত্র এক মাস কাল কুনুত পড়ে ছিলেন। অতপর তা ত্যাগ
করেন।(আবু দাউদ ও নাসায়ি)
কুনুতে নাজেলা পড়ার নিয়ম:
ফজরের নামাজের ২য় রাকাতের রুকুর পর দাঁড়িয়ে নিম্নোক্ত
দোয়াটি পরে নামাজ শেষ করবে। অতপর দোয়া করবে। (এলাউস সুনান– ৬/৮১)
কুনুতে নাজেলার দোয়াটি হলো:
আল্লাহুম্মাহদিনা ফীমান হাদায়্ত। ওয়া আফিনা ফীমান
আফায়ত্। ওয়া তাওয়াল্লানা ফী মান তাওল্লায়ত্। ওয়া বারিক লানা ফী মান আ'তায়ত। ওয়াকিনা শার্রা মাকাজায়ত। ফাইন্নাকা তাকজি ওয়ালা য়ুকজা আলাইক্।
ওয়াইন্নাহু লা য়াজিল্লু আলা মান ওয়া লাইয়ত্। ওয়ালা য়াইজ্জু আলা মান আদাইয়ত।
তাবারাকতা রাব্বানা ওয়া তায়ালায়ত। নাসতাগফিরুকা ও নাতুবূ ইলাইক্। ওয়া
সাল্লাল্লাহু আলান্নাবিয়্যিল কারীম। আল্লাহুম্মাগফিরলানা ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল
মুমিনাত। ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাত। ওয়া আল্লিফ বাইনা কুলুবিহিম। ওয়া
আসলিহ জাতা বাইনিহিম। ওয়াংসুরহুম আলা আদুয়্যিকা ওয়া আদুয়্যিহিম। আল্লাহুম্মালআন
কাফারাতা আহলিল কিতাবিল্লাজিনা ইয়াসুদ্দুনা আন সাবিলিকা।ওয়া ইউকাজজিবুনা
রুসুলাকা।ওয়া ইউকাতিলুনা আওলিয়াআকা। আল্লাহুম্মা খালিফ বাইনা কালিমাতিহিম। ওয়া
যালযিল আকদামাহুম। ওয়া আনযিল বিহিম বাসাকাল্লাজি লা তারুদ্দুহু আনিল কাওমিল
মুঝরিমিন।
আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতাঈনুকা ওয়া নাসতাগফিরুকা ওয়া নুছনি
আলাইকা ওয়ালা নাকফুরুক ওয়া নাখলাউ ওয়া নাতরুকু মাইঁ-ইয়াফজুরুকা। আল্লাহুম্মা
ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া লাকা নুসাল্লি, ওয়া নাসজুদু, ওয়া লাকা নাসআ, ওয়া নাহফিদু, নাখশা আজাবাকালঝাদ্দা, ওয়া নারজু রাহমাতাক। ইন্না আযাবাকা বিল কাফিরিনা মুলহিক।’ (বাইহাকি)
বিতরের কুনূতে (গায়র
না-যেলাহ) দুআ
اَللَّهُمَّ اهْدِنِي
فِيْمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِي فِيْمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيْمَنْ
تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِي فِيْمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِي شَرَّمَا قْضَيْتَ،
إِنَّهُ لا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ.
আল্লা-হুম্মাহদিনী ফী মান হাদাইত। অআ-ফিনী ফীমান আ ফাইত। অতাওয়াল্লানী ফী মান
তাওয়াল্লাইত। অবা-রিকলী ফী মা আত্বাইত। অক্বিনী শারামা ক্বায্বাইত। ফাইন্নাকা
তাক্বয্বী অলা য্যুকয্বা আলাইক। ইন্নাহু লা য়্যাযিল্লু মাউ ওয়া-লাইত। অলা
য়্যাইয্যু মান আ’-দাইত। তাবারাকতা রাব্বানা
অতাআ’লাইত। লা মানজা মিনকা ইল্লা ইলাইক। অ স্বাল্লাল্লাহু আলা নাবিয়্যিনা
মুহাম্মাদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হিদায়াত করে তাদের দলভুক্ত কর, যাদেরকে
তুমি হিদায়াত করেছ। আমাকে নিরাপদে রেখে তাদের দলভুক্ত কর, যাদেরকে
তুমি নিরাপদে রেখেছ। আমার সকল কাজের তত্ত্বাবধান করে আমাকে তাদের দলভুক্ত কর, যাদের
তুমি তত্ত্বাবধান করেছ। তুমি আমাকে যা কিছু দান করেছ, তাতে
বৰ্কত দাও। আমার ভাগ্যে তুমি যা ফায়সালা করেছ,
তার মন্দ থেকে রক্ষা কর।
কারণ তুমিই ফায়সালা করে থাক এবং তোমার উপর কারো ফায়সালা চলে না। নিশ্চয় তুমি
যাকে ভালোবাস, সে লাঞ্ছিত হয় না এবং
যাকে মন্দ বাস, সে সম্মানিত হয় না। তুমি
বৰ্কতময় হে আমাদের প্রভু এবং তুমি সুমহান! তোমার আযাব থেকে তুমি ছাড়া কোন
আশ্রয়স্থল নেই। আর আমাদের নবীর উপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ করুন। (আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, আহমাদ, বইহাবী, ইবনে
মাজাহ ইরওয়াউল গালীল ২/১৭২)
বিপদে কোন সম্প্রদায়ের জন্য দুআ অথবা বন্দুআ করতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে শেষ
রাকআতের রুকুর পরে কুনুতে নাযেলাহ পড়তে হয় ;
اَللَّهُمَّ إِنَّا
نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ ، وَنُثْنِي عَلَيْكَ الْخَيْرَ كُلَّهُ ،
وَنَشْكُرُكَ وَلا نَكْفُرُكَ ، وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ اللَّهُمَّ
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّي ، وَنَسْجُدُ وَإِلَيْكَ نَسْعَى ، وَنَحْفِدُ
نَرْجُو رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ ، إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
আল্লা-হুম্মা ইন্না নাসতাঈনুকা অ নাসতাগফিরুক, অনুসনী
আলাইকাল খায়রা কুল্লাহ, অনাশকুরুকা অলা নাকফুরুক, অনাখলাউ
অনাতরুকু মাঁই য়্যাফজুরুক, আল্লা-হুম্মা ইয়্যাকা না'বুদ, অলাকা
নুসাল্লী অনাসজুদ, অইলাইকা নাসআ অ নাহফিদ, নারজু
রাহমাতাকা অনাখশা আযা-বাক, ইন্না আযা-বাকা বিল
কুফফা-রি মুলহাক্ব।
অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমরা তোমার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছি এবং ক্ষমা
ভিক্ষা করছি, তোমার নিমিত্তে যাবতীয়
কল্যাণের প্রশংসা করছি, তোমার কৃতজ্ঞতা করি ও
কৃতঘ্নতা করি না, তোমার যে অবাধ্যতা করে
তাকে আমরা ত্যাগ করি এবং তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই
ইবাদত করি, তোমার জন্যই নামায পড়ি এবং সিজদা করি, তোমার
দিকেই আমরা ছুটে যাই। তোমার রহমতের আশা রাখি এবং তোমার আযাবকে ভয় করি, নিশ্চয়
তোমার আযাব কাফেরদেরকে পৌঁছবে।
এরপর অত্যাচারিতদের জন্য দুআ এবং অত্যাচারীদের উপর বদুআ করতে হয়। যেমন “আল্লা-হুম্মা
আযিবিল কাফারাতাল্লাযীনা য়্যাসুদ্দুনা আন সাবীলিক, অয়্যুকাযযিবুনা
রুসুলাক, আয়্যুক্বা-তিলুনা আউলিয়া-আক। আল্লা-হুম্মাগফির লিল মু'মিনীনা
অল মু’মিনা-ত, অ আস্বলিহ যা-তা বাইনিহিম
অ আল্লিফ বাইনা কুলুবিহিম, অজআল ফী কুলুবিহিমুল ঈমানা
অল হিকমাহ, অসাব্বিতহুম আলা মিল্লাতি রাসুলিল্লা-হি সাল্লাল্লাহু আলাইহি
অসাল্লাম। অনসুরহুম আলা আদুউবিকা অ আদুউবিহিম। আল্লাহুম্মা ফাররিক জামআহুম
অশাত্তিত শামলাহুম অ খাররিব বুনয়্যা-নাহুম অ দাম্মির দিয়া-রাহুম।” ইত্যাদি।
(বাইহাকী, ২/২১১, ইরওয়াউল গালীল ২/ ১৬৪-
১৭০)
রমযানের কুনুতে উক্ত দুআ, অর্থাৎ
কাফেরদের উপর বদদুআ এবং মুমিনদের জন্য দুআ ও ইস্তেগফার করার কথা সাহাবীদের আমলে
প্রমাণিত। (সহীহ ইবনে খুযাইমা-১১০০)
অতএব আমরা সকলে বিপদে-আপদে এই দোয়াটি বেশী
বেশী পড়ব ইনশাআল্লাহ।
No comments:
Post a Comment
razzakhowlader59@gmil.com