ইসলামী দৃষ্টিতে মুসলমানের পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য
-এম এ রাজ্জাক হাওলাদার
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সহযোগিতা করা, ও একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া
আমাদের ঈমানেরই অংশ।
কুরআন ও হাদীসের আলোকে এই দায়িত্বকে
ব্যাখ্যা করলে:
🔹 ভ্রাতৃত্ব ও সহানুভূতি:
"নিশ্চয়ই মুসলিমরা পরস্পরের ভাই।"
—
সূরা হুজুরাত, আয়াত ১০
এই আয়াত থেকেই স্পষ্ট যে মুসলিমদের মাঝে একটি ভ্রাতৃত্বের
সম্পর্ক রয়েছে, আর ভাইয়ের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়াটা তো
স্বাভাবিকই।
🔹 সহায়তা করা ফরজ:
"তোমরা একে অপরকে ন্যায়ের ও আল্লাহভীতির
কাজে সাহায্য করো..."
—
সূরা মায়িদা, আয়াত ২
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা মুসলিমদের ন্যায়ের পথে একে অপরকে
সাহায্য করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
🔹 হাদীস: রাসূল (সা.) বলেন:
"তুমি যদি তোমার ভাইয়ের প্রয়োজন মেটাও, তাহলে আল্লাহ তোমার প্রয়োজন মেটাবেন।"
— সহীহ মুসলিম
রাসূল (সা.) বলেন:
“তুমি তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে যদি জুলুমকারী
হয় বা জুলুমের শিকার হয়।”
সাহাবীগণ বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল! যদি সে জুলুমের শিকার হয়,
তবে তাকে সাহায্য করব এটা
তো বুঝলাম; কিন্তু যদি সে
জুলুমকারী হয় তাহলে তাকে কিভাবে সাহায্য করব?”
তিনি (সা.) বললেন,
“তাকে জুলুম থেকে বিরত
রাখা — এটাই হচ্ছে তাকে
সাহায্য করা।”
[বুখারী, হাদীস: ২৪৪৪]
🔸 বাস্তব জীবনে কীভাবে পাশে দাঁড়ানো যায়?
- বিপদগ্রস্ত
মুসলিম ভাই বা বোনকে সাহায্য করা
- দোয়া করা
- আর্থিক
সহায়তা দেওয়া (যাকাত, সদকা)
- ন্যায়ের
পক্ষে কথা বলা
- ইসলামি
শিক্ষা ও সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া
বাস্তব জীবনে প্রয়োগ:
- মুসলিম
ভাইবোনদের কষ্টে পাশে দাঁড়ানো (মানসিক,
আর্থিক বা
সামাজিকভাবে)
- দোয়া করা এবং
তাদের জন্য সাহায্য আহ্বান করা
- জুলুমের
বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো
- সত্য ও
ন্যায়ের পক্ষে কথা বলা
🔸 উপসংহার:
ইসলামে "উম্মাহ" বা মুসলিম সমাজকে একটি দেহের
সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। একজনের কষ্টে সবাই কষ্ট পায় — ঠিক যেমন দেহের এক অংশে ব্যথা পেলে পুরো শরীর কষ্ট পায়। তাই, মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানো শুধু একটি দায়িত্ব না,
বরং তা আমাদের
ঈমানের নিদর্শন।
No comments:
Post a Comment
razzakhowlader59@gmil.com