মুত্তাকী ব্যক্তির পরিচয়
০২. শুরুকথা
প্রত্যেক বস্তুরই একটি পরিচিতি বা বৈশিষ্ট্য থাকে যা দেখে ওই
বস্তু সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় হল অন্তরের এমন একটি বিশেষ
অবস্থা যা মানুষের মনে জাগ্রত হলে আল্লাহরহক্ব, আল্লাহর প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য সর্বোপরি আখেরাতের
কাজে উৎসাহ-উদ্দিপনা ও প্রেরণা সৃষ্টি হয়। আর তখন তার দ্বারা দুনিয়াতে কোন অপরাধ বা
অন্যায়-অবিচার, ভুল-ভ্রান্তি হতে
পারে না। খুব সাবধানতার সাথে সে উপরোক্ত বিষয়াবলী থেকে বিরত থাকতে পারে।
إِنَّ
عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، سَأَلَ أُبَيَّ
بْنَ كَعْبٍ عَنِ التَّقْوَى، فَقَالَ لَهُ: أَمَا سَلَكْتَ طَرِيقًا ذَا شَوْكٍ؟
قَالَ: بَلَى قَالَ: فَمَا عَمِلْتَ؟ قَالَ: شَمَّرْتُ وَاجْتَهَدْتُ، قَالَ:
فَذَلِكَ التَّقْوَى – (تفسير ابن كثير-جلد-1-صفحة-164-في
ظلال القران-جلد-1-صفحة-39-المكتبة الشاملة)
০৩. খলীফা উমর (রাঃ)
একবার হযরত উবাই ইবনে কা’বকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তাকওয়া কী? উত্তরে তিনি বলেছিলেনঃ
আপনি কি কখনও কন্টাকাকীর্ণ পথে চলেছেন? তিনি বললেন হ্যাঁ, উবাই বললে, তখন আপনি কী করেছেন? তিনি বললেন, খুব সতর্কতার সাথে
কাঁটার আঁচড় থেকে শরীর ও কাপড় বাঁচিয়ে চলেছি। উবাই ইবনে কাব বলেন এটাই হল তাকওয়া।
(সূরা বাকারার ৩-৪ নং আয়াতের তাফসীরে ইবনে কাসীর)
০৪. মুত্তাকীর পরিচয়
মুত্তাকী শব্দটি এসেছে تقوي (তাকওয়া) শব্দ থেকে।
আর تقوي শব্দের অর্থ হল আল্লাহভীতি, আত্মশুদ্ধি, বিরত থাকা, সাবধান হওয়া ও সতর্ক
থাকা ইত্যাদি। যে তাকওয়া অবলম্বন করে তাকে বলা হয় মুত্তাকী। বাংলায় বলা হয় আল্লাহ ভীরু।
এক মাত্র আল্লাহর ভয়ে সকল প্রকার অন্যায় ও অসৎ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রেখে কুরআন ও সুন্নাবাহ
মোতাবেক যিনি জীবন যাপন করেন তাকে বলা হয় মুত্তাকী।
০৫. শরীয়তের পরিভাষায় যারা অন্যায়-অত্যাচার
ও যাবতীয় পাপ কাজ থেকে নিজেদের সতর্কতার সাথে সুরক্ষিত রাখে ও সংযমী হয় তাকেই মুত্তাকী
বলা হয়।
হাদীসে এসেছে,
عَنْ عَطِيَّةَ السَّعْدِيِّ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
«لَا يَبْلُغُ الْعَبْدُ أَنْ يَكُونَ مِنَ الْمُتَّقِينَ، حَتَّى يَدَعَ مَا لَا بَأْسَ
بِهِ، حَذَرًا لِمَا بِهِ الْبَأْسُ»
আতিয়া আস-সাদী (রাঃ)
হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
বলেছেন, কোন ব্যক্তি পাপ কাজে
জড়িয়ে পড়ার ভয়ে যেসব কাজে গুণাহ নেই তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত মুত্তাকী লোকদের শ্রেণীভুক্ত
হতে পারে না। (তিরমিযী, ইবনে মাজা-৪২১৬ শামেলা;কুহাসা-৩/১৭পৃ.)
মোটকথা শরীয়তরে পরভিাষায় যে কাজ করলে পাপ হবে এমন কাজ হতে বরিত থাকার নাম ‘তাকওয়া’। আর যিনি এ কাজ করনে তাকইে
‘মুত্তাকী’ বলা হয়। র্অথাৎ আল্লাহর
ভয়ে সকল পাপাচার, অনাচার, অবচিার, অত্যাচার এবং এ জাতীয়
সকল কাজ হতে নিজিকে বিরত রাখে পবত্রি কুরআন এবং
ছহীহ হাদসি অনুসারে নজি জীবন পরচিালনার নাম ‘তাকওয়া’। আর যিনি এসব কাজ পরহিার করে
ইসলামী শরী’আহ অনুযায়ী চলনে
তাকে ‘মুত্তাকী’ বলা হয় ।
০৬. মুত্তাকী করা
মুত্তাকীর করা এ সম্পকে
হাদীসে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
قَالَ: " سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللَّهُ فِي ظِلِّهِ، يَوْمَ لاَ ظِلَّ إِلَّا
ظِلُّهُ: الإِمَامُ العَادِلُ، وَشَابٌّ نَشَأَ فِي عِبَادَةِ رَبِّهِ، وَرَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلَّقٌ فِي المَسَاجِدِ، وَرَجُلاَنِ
تَحَابَّا فِي اللَّهِ اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرَّقَا عَلَيْهِ، وَرَجُلٌ طَلَبَتْهُ
امْرَأَةٌ ذَاتُ مَنْصِبٍ وَجَمَالٍ، فَقَالَ: إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ، وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ،
أَخْفَى حَتَّى لاَ تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِينُهُ، وَرَجُلٌ ذَكَرَ اللَّهَ
خَالِيًا فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ "
হজরত আবু হুরায়রা
(রা.) থেকে র্বণতি, তিনি বলনে: রসুলুল্লাহ (সা.) বলছেনে—যে দনি আল্লাহপাকরে রহমতরে ছায়া ব্যতীত অন্য কোনো ছায়া থাকবে
না সদেনি আল্লাহপাক সাত শ্রণেরি লোককে তার রহমতরে ছায়া দান করবনে— (১) ন্যায় বচিারক, (২) ওই যুবক যে যৌবন
বয়সইে অল্লাহর ইবাদতে মশগুল হেয়েছে(৩) একবার নামাজ আদায়
করে বরে হয়ে পুনরায় নামাজরে সময়রে অপক্ষোয় যে ব্যক্তরি মন মসজদিরে প্রতি থাকে এমনকি সে পুনরায় মসজিদে গমন করে (৪) সে দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর সন্তুষ্টরি জন্য
একে অপরকে ভালোবাসে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টরি জন্য তারা বচ্ছিন্নি হয় না, (৫) যে ব্যক্তি নর্জিনে
বসে আল্লাহর জকিরি করে অতঃপর তার চক্ষুদ্বয় অশ্রুতে ভাসায়, (৬) সে ব্যক্তি যাকে
কোনো সম্ভ্রান্ত পরবিাররে রমনী আহ্বান করেছে কন্তিু সে এ বলে বরিত থাকে যে আমি আল্লাহকে ভয় করি (৭) সে ব্যক্তি যে সাদাকা করে এবং সাদাকাকে এমনভাবে
গোপন করে যে ডান হাতে যা কছিু
সাদাকা করেছে তা তার বাম হাত র্পযন্ত
জানে না। আল্লাহতায়ালার ভয় নাফসরে কঠনি খায়শেকে দমন করার জন্য এক মজবুত ঢাল বা র্বম
হিসেবে কাজ করে। আল্লাহভীতি ব্যতীত অন্য কোনো জনিসি কদাচতি মানুষকে তার নফসরে
বাঁধনছাড়া চাহিদাকে রুখতে পারে। (বুখারী-৬৬০; মুসলমি-৯১)
০৭. মুত্তাকীর বৈশিষ্ট্য
মুত্তাকীগণের বৈশিষ্ট্য
সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
الم (1)
ذَلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِلْمُتَّقِيْنَ (2) الَّذِينَ
يُؤْمِنُوْنَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيْمُوْنَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ
يُنْفِقُونَ (3) وَالَّذِيْنَ يُؤْمِنُوْنَ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا
أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ وَبِالْآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ (4) أُولَئِكَ عَلَى هُدًى
مِنْ رَبِّهِمْ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ (5)
১। আলিফ-লাম-মিম।
২। এই সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য
হিদায়াত।
৩। যারা গায়েবের প্রতি
ঈমান আনে, সালাত কায়েম করে এবং
আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।
৪। আর যারা ঈমান আনে
তাতে, যা তোমার প্রতি নাযিল
করা হয়েছে এবং যা তোমার পূর্বে নাযিল করা হয়েছে। আর আখিরাতের প্রতি তারা ইয়াকীন রাখে।
৫। তারা তাদের রবের
পক্ষ থেকে হিদায়াতের উপর রয়েছে এবং তারাই সফলকাম। (সূরা বাকারা ২/১-৫)
০৮. মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
لَيْسَ الْبِرَّ أَنْ تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ
قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ
الْآخِرِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَى حُبِّهِ
ذَوِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّائِلِينَ
وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ
إِذَا عَاهَدُوا وَالصَّابِرِينَ فِي الْبَأْسَاءِ وَالضَّرَّاءِ وَحِينَ الْبَأْسِ
أُولَئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ
ভালো কাজ এটা নয় যে, তোমরা তোমাদের চেহারা
পূর্ব ও পশ্চিম দিকে ফিরাবে; বরং ভালো কাজ হল যে ঈমান আনে আল্লাহ,শেষ দিবস, ফেরেশতাগণ, কিতাব ও নবীগণের প্রতি
এবং যে সম্পদ প্রদান করে তার প্রতি আসক্তি সত্তে¡ত্ত নিকটাত্মীয়গণকে, ইয়াতীম, অসহায়, মুসাফির ও প্রার্থনাকারীকে এবং বন্দিমুক্তিতে এবং
যে সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং যারা
অঙ্গীকার করে তা পর্ণূ করে,
যারা ধৈর্যধারণ করে
কষ্ট ও দুর্দশায় ও যুদ্ধের সময়ে। তারাই সত্যবাদী এবং তারাই মুত্তাকী। (সুরা বাকারা-২/১৭৭)
০৯. অন্য একটি আয়াতে আল্লাহ বলেন,
وَسَارِعُوا إِلَىٰ مَغْفِرَةٍ مِّن رَّبِّكُمْ وَجَنَّةٍ
عَرْضُهَا السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ أُعِدَّتْ لِلْمُتَّقِينَ۞ الَّذِينَ يُنفِقُونَ فِي السَّرَّاءِ
وَالضَّرَّاءِ وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ ۞
তামরা তোমাদের প্রতিপালকের
ক্ষমা ও সেই জান্নবাতের দিকে দ্রæত অগ্রসর হও যার প্রশস্ততা হল আসমান-যমিন সমতুল্য, যা তৈরী করা হয়েছে
মুত্তাকীদের জন্য। তারা সুখে ও দুঃখে (আল্লাহর রাস্তায়) খরচ করে। তারা ক্রোধ সংবরণ
করে। লোকদের মার্জনা করে। (সুরা আলে-ইমরান ৩/১৩৩-১৩৪)
১০. মুত্তাকীগণ সর্বাবস্থায় আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ডাকে সাড়া
দেয়
মহান আল্লাহ বলেন,
اَلَّذِيْنَ اسْتَجَابُوا لِلَّهِ وَالرَّسُوْلِ مِن بَعْدِ مَا أَصَابَهُمُ الْقَرْحُ ۚ لِلَّذِيْنَ أَحْسَنُوا مِنْهُمْ وَاتَّقَوْا أَجْرٌ عَظِيْمٌ
যারা আল্লাহ ও রাসূলের
ডাকে সাড়া দিয়েছে যখমপ্রাপ্ত হওয়ার পরও, তাদের মধ্য থেকে যারা সৎকর্ম করেছে এবং তাকওয়া অবলম্বন
করেছে তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার। (সূরা আলে ইমরান ৩/১৭২)
১১. মুত্তাকীগণ একমাত্র আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর উপরেই ভরসা করে
মহান আল্লাহ বলেছেন,
اَلَّذِیْنَ قَالَ لَھُمُ النَّاسُ إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ فَاخْشَوْھُمْ فَزَادَھُمْ إِیمَانًا وَقَالُوا حَسْبُنَا اللَّھُ وَنِعْمَ الْوَكِیلُ
যাদেরকে মানুষেরা
বলেছিল যে, ‘নিশ্চয় লোকেরা তোমাদের
বিরুদ্ধে সমবেত হয়েছে। সুতরাং তাদেরকে ভয় কর। কিন্তু তা তাদের ঈমান বাড়িয়ে দিয়েছিল
এবং তারা বলেছিল, ‘আল্লাহই আমাদের জন্য
যথেষ্ট এবং তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক! (সূরা আলে ইমরান ৩/১৭৩)
১২. মুত্তাকীগণ সন্দেহযুক্ত হালাল কাজ থেকে বিরত থাকেন
হাদীসে এসেছে,
سَمِعْتُ
رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: - وَأَهْوَى
النُّعْمَانُ بِإِصْبَعَيْهِ إِلَى أُذُنَيْهِ - «إِنَّ
الْحَلَالَ بَيِّنٌ، وَإِنَّ الْحَرَامَ بَيِّنٌ، وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبِهَاتٌ لَا
يَعْلَمُهُنَّ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ، فَمَنِ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ اسْتَبْرَأَ لِدِينِهِ، وَعِرْضِهِ، وَمَنْ وَقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ
وَقَعَ فِي الْحَرَامِ، كَالرَّاعِي يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى، يُوشِكُ أَنْ
يَرْتَعَ فِيهِ، أَلَا وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى، أَلَا وَإِنَّ حِمَى اللهِ
مَحَارِمُهُ، أَلَا وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً، إِذَا صَلَحَتْ،
صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، وَإِذَا فَسَدَتْ، فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، أَلَا وَهِيَ
الْقَلْبُ» (بخارى- 50
-مسلم-3949)
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, হালাল সুস্পষ্ট, হারামও সুস্পষ্ট।
এ দুটির মাঝখানে কিছু জিনিস আছে সন্দেহপূর্ণ। অনেক লোকেরই সে সম্পর্কে জানা নেই যে, আসলে তা হালাল না
হারাম। এরূপ অবস্থায় যে ব্যক্তি নিজের দ্বীন ও মান-মর্যদা রক্ষার জন্য এসব থেকে দূওে
থাকবে সে নিশ্চই নিরাপত্তা পেয়ে যাবে। কিন্তু যে ব্যক্তি এসবের সাথে জড়িয়ে পড়বে, সে হারামের সাথে জড়িয়ে
পড়ে যেতে পারে। যেমন কেউ তার জন্তুগুলোকে নিষিদ্ধ চারণভূমির পাশে চরালে নিষিদ্ধ চারণভূমিতে
চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তোমরা মনে রেখ প্রত্যেক রাজা বাদশাহরই সুরক্ষিত চারণভূমি থাকে।
আর আল্লাহর হারাম করা জিনিস গুলোই তার সুরক্ষিত চারণভূমি। সাবধান মনে রেখ শরীরের একটুকরা
গোশত আছে যখন তা সঠিক থাকে তখন পুরো শরীর ঠিক থাকে, আর যখন এই টুকরাটা নষ্ট হয়ে যায় তখন পুরো শরীর নষ্ট হয়ে যায়। জেনে রাখ আর এটি হচ্ছে
ক্বাল্ব বা অন্তর। (বুখারী-৫০ ই.ফা. মুসলিম-৩৯৪৯ ই.ফা.বা)
১৩. অন্য একখানা হাদীসে এসেছে,
عَنْ
أَبِي
هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا
تَحَاسَدُوا، وَلَا تَنَاجَشُوا، وَلَا تَبَاغَضُوا، وَلَا تَدَابَرُوا، وَلَا
يَبِعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَيْعِ بَعْضٍ، وَكُونُوا عِبَادَ اللهِ إِخْوَانًا-
الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ، لَا يَظْلِمُهُ وَلَا يَخْذُلُهُ، وَلَا
يَحْقِرُهُ -التَّقْوَى هَاهُنَا» وَيُشِيرُ
إِلَى صَدْرِهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ «بِحَسْبِ امْرِئٍ
مِنَ الشَّرِّ أَنْ يَحْقِرَ أَخَاهُ الْمُسْلِمَ، كُلُّ الْمُسْلِمِ عَلَى
الْمُسْلِمِ حَرَامٌ، دَمُهُ، وَمَالُهُ، وَعِرْضُهُ» (رَوَاهُ مُسلم-6309)
আবু হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ওাসূলুল্লাহ (সাঃ)
বলেছেন তোমরা পরস্পরে হিংসা পোষণ করবে না, ধোঁকাবাজী করো না, বিদ্বেষ পোষণ করো
না, একে অপরের ক্ষতি করার
উদ্দেশ্যে শত্রæতা করো না এবং একের
বেচা-কেনার উপর অন্যে বেচা-কেনার চেষ্টা কববে না। তোমরা আল্লহর বান্দাহ হিসেবে ভাই
ভাই হয়ে থাক। এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তার উপর যুলূম করবে না, তাকে অপদস্ত করবে
না এবং হেয় প্রতিপন্ন করবে না।
তাকওয়া এইখানেই, এই কথা বলে রাসূলুল্লাহ (স.) তিনবার তার সিনার প্রতি
ইশারা করলেন। একজন মানুষ মন্দ হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে তার ভাইকে হেয়
প্রতিপন্ন করে। কোন মুসলিমের উপর প্রত্যেক মুসলিমের জান-মাল ও ইযযত-আবরুর উপর আঘাত
হানা হারাম। (মুসলিম-ই.ফা.৬৩০৯, ই.সে. ৬৩৫৮)
১৪. মুত্তাকীদের বন্ধুত্ব কিয়ামত পর্যন্ত অটুট থাকবে
মহান আল্লাহ বলেছেন,
الْأَخِلَّاءُ یَوْمَئِذٍ بَعْضُھُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ إِلَّا الْمُتَّقِیْنَ . یَا عِبَادِ لَا خَوْفٌ عَلَیْكُمُ الْیَوْمَ وَلَا أَنْتُمْ تَحْزَنُوْنَ
সেদিন বন্ধুরা একে
অন্যের শত্রু হবে, মুত্তাকীরা ছাড়া।
হে আমার বান্দাগণ, আজ তোমাদের কোন ভয়
নেই এবং তোমরা চিন্তিতও হবে না। (সূরা যুখরূফ ৪৩/৬৭-৬৮)
(ক) ওহী ভিত্তিক জ্ঞান অর্জন
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وَمِنَ النَّاسِ وَالدَّوَابِّ وَالْأَنْعَامِ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ كَذَٰلِكَ ۗ إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ ۗ إِنَّ اللَّهَ عَزِيْزٌ غَفُوْرٌ
“অনুরূপ ভাবে বিভিন্ন বর্ণের মানুষ, জন্তু, চতুস্পদ প্রাণী রয়েছে।
আল্লাহ্র বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই কেবল তাঁকে ভয় করে। নিশ্চয় আল্লাহ্ পরাক্রমশালী
ক্ষমাশীল।”(সারা ফাতির-৩৫/২৮)
অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন,
وَالَّذِيْ جَاءَ بِالصِّدْقِ وَصَدَّقَ بِهِ ۙ أُولَٰئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ
আর যারা সত্য বাণী
নিয়ে এসেছে এবং উহাকে সত্য বলে বিশ্বাস করেছে তারাই হচ্ছে আল্লাহভীরু। (সুরা যুমার-৩৯/৩৩)
১৬. মহান আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে বলেন,
وَكَذَٰلِكَ أَنزَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا وَصَرَّفْنَا فِيهِ مِنَ الْوَعِيدِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ أَوْ يُحْدِثُ لَهُمْ ذِكْرًا
এমনিভাবে আমি আরবী
ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি এবং এতে নানাভাবে সতর্কবাণী ব্যক্ত করেছি, যাতে তারা আল্লাহ্ভীরু
হয় অথবা সামান্য পরিমান হলেও তাদের মধ্যে বোধ শক্তি জাগ্রত হয়। (সুরা তা-হা-২০/১১৩)
إِنَّ هَٰذَا الْقُرْآنَ يَهْدِي لِلَّتِي هِيَ أَقْوَمُ وَيُبَشِّرُ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا كَبِيرًا
এই কোরআন এমন পথ প্রদর্শন
করে, যা সর্বাধিক সরল এবং
সৎকর্ম পরায়ণ মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্যে মহা পুরস্কার রয়েছে।(সূরা বনি ইসরাঈল-০৯)
১৭. অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন,
رَّسُولًا يَتْلُو عَلَيْكُمْ آيَاتِ اللَّهِ مُبَيِّنَاتٍ لِّيُخْرِجَ الَّذِيْنَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ ۚ وَمَنْ يُؤْمِن بِاللَّهِ وَيَعْمَلْ صَالِحًا يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِيْنَ فِيْهَا أَبَدًا ۖ قَدْ أَحْسَنَ اللَّهُ لَهُ رِزْقًا
“একজন রাসূল, যিনি তোমাদের কাছে আল্লাহ্র সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ
পাঠ করেন, যাতে বিশ্বাসী ও সৎকর্মপরায়ণদের
অন্ধকার থেকে আলোতে আনয়ন করেন। যে আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম সম্পাদন
করে, তিনি তাকে দাখিল করবেন
জান্নাতে, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত, তথায় তারা চিরকাল
থাকবে। আল্লাহ্ তাকে উত্তম রিযিক দেবেন।” (সুরা তালাক-১১)
১৮. (খ) সৎ লোকের সংর্স্প
মানুষ তার সঙ্গীর আদর্শে প্রভাবিত হয়। কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا اتَّقُوا
اللَّهَ وَكُوْنُوْا مَعَ الصَّادِقِيْنَ ﴿التوبة: ١١٩﴾
হে ঈমানদারগণ! তোমরা
আল্লাহ তায়ালাকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও। (সুরা তাওবা-৯/১১৯)
এ প্রসংঙ্গে হাদীসে এসেছে,
عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ،
قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الرَّجُلُ
عَلَى دِيْنِ خَلِيْلِهِ، فَلْيَنْظُرْ أَحَدُكُمْ مَنْ
يُخَالِلُ» [حكم الألباني] : حسن (ترمزى-2378-ابو
داؤد-4833)
আবু হুরায়রা (রাঃ)
হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
বলেছেনঃ একজন ব্যক্তি তার সঙ্গীর আচার-আচরণের উপর গড়ে উঠে। সুতরাং তোমাদের প্রত্যেকেই
যেন লক্ষ রাখে যে সে কার সাথে বন্ধত্ব করছে। (তিরমিযি-২৩৭৮,আবু দাউদ-৪৮৩৩)
অন্য একটি হাদীসে এসেছে,
عَنْ
مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِيْنَ، قَالَ: «إِنَّ هَذَا الْعِلْمَ
دِيْنٌ، فَانْظُرُوا عَمَّنْ تَأْخُذُونَ دِينَكُمْ» (مقدمة المسلم-باب-5)
এই (ওহীর) জ্ঞানই
হল ধর্ম, অতএব তোমাদের ধর্ম
তোমরা কোন শ্রেণীর লোকদের নিকট থেকে গ্রহণ করছ তা লক্ষ্য কর। (সহীহ মুসলিম-ভুমিকা মধ্যে)
১৯. (গ) আল্লাহ ভীরু পিতামাতা
পিতা মাতা আল্লাহ ভীরু হলে সন্তানও অধিকাংশ ক্ষেত্রে আল্লাহভীরু
হতে বাধ্য। রাসুল (সাঃ) বলেছেন,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى الفِطْرَةِ، فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ، أَوْ يُنَصِّرَانِهِ، أَوْ يُمَجِّسَانِهِ، (بخارى- 1302-مسلم-6514 )
প্রতিটি সন্তানই তার
সহজাত প্রকৃতি তথা তাওহীদের উপর জন্ম গ্রহণ করে, অতঃপর পিতামাতা তাকে ইহুদী অথবা খৃষ্টান অথবা অগ্নিপূজক
বানায়। (বুখারী-১৩০২ ই.ফা, মুসলিম-৬৫১৪ ই.ফা)
২০. (ঘ) আল্লাহকে হাজির-নাজির জানা
মহান আল্লাহ বলেনঃ
هُوَ مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنتُمْ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ وَ
“তিনি তোমাদের সাথে আছেন তোমরা যেখানেই থাক। তোমরা যা কর, আল্লাহ্ তা দেখেন।” (সূরা হাদীদ-৪)
অন্য আয়াতে এসেছে,
وَلَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ وَنَعْلَمُ مَا تُوَسْوِسُ بِهِ نَفْسُهُ وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْ حَبْلِ الْوَرِيْدِ
“আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং তার মন নিভৃতে যে কুচিন্তা করে, সে স¤¦ন্ধেও আমি অবগত আছি।
আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনী থেকেও অধিক নিকটবর্তী।”(সূরা ক্বাফ-১৬)
রাসূলে কারিম (স.) এর হাদীসে এসেছে,
عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ
اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَفْضَلَ الْإِيمَانِ أَنْ
تَعْلَمَ أَنَّ اللَّهَ مَعَكَ حَيْثُمَا كُنْتُ» (المعجم الاوسط
للطبرانى-8796)
উবাদা ইবনে ছামেত
(রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন-
“সর্বোত্তম ঈমান হল
এ কথা বিশ্বাস করা যে, তুমি যেখানেই অবস্থান
কর, আল্লাহ তোমার সাথে
রয়েছেন। (তিবরানী-৮৭৯৬)
২১. (ঙ) আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা (এবাদত করা)
দৈহিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আল্লাহর আদেশ পালন ও নিষেধাজ্ঞা বর্জনে
কাজে লাগাতে পারলেও মনে আল্লাহর ভয় জাগ্রত হয়। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَأَنَّ هَٰذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ ۖ وَلَا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَن سَبِيلِهِ ۚ ذَٰلِكُمْ وَصَّاكُم بِهِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
এটিই আমার সরল সোজা
রাস্তা, তোমরা এটাকেই মজবুত
ভাবে ধারণ কর, অন্যান্য রাস্তা অনুসরণ
কর না,তাহলে তোমরা আল্লাহর
রাস্তা থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়বে। আল্লাহ এটিরই উপদেশ তোমাদের দিয়েছেন যাতে তোমরা তাকওয়া
অর্জন করতে পারবে। (সুরা আনআম-৬/১৫৩)
২২. মুত্তাকীগণের মর্যাদা
যারা তাকওয়া অবলম্বন করেন তাদেরকে দুনিয়ার অনেক স্বাদ-আহলাদ, আরাম-আয়েশ ও ভোগ-বিলাশ
বিসর্জন দিয়ে জীবন-যাপন করতে হয়। এটি অনেক ত্যাগের বিষয়। তাই আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্য
দুনিয়া ও আখেরাতে বিভিন্নব প্রকারের পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছেন। যেমন- মহান আল্লাহ
বলেন,
وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجًا
وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ
যারা আল্লাহ তায়ালাকে
ভয় করে, তিনি তাদের মুক্তির
একটি পথ করে দেন এবং তাদেরকে এমন স্থান থেকে রিযিক প্রদান করেন যা তার ধারণার বাহির।
(সূরা তালাক-৬৫/২-৩)
২৩. মুত্তাকীগণের জন্য
রয়েছে জান্নাত
এ প্রসংঙ্গে হাদীসে
এসেছে,
مَّثَلُ الْجَنَّةِ الَّتِي وُعِدَ الْمُتَّقُونَ فِيهَا أَنْهَارٌ مِّن مَّاءٍ غَيْرِ آسِنٍ وَأَنْهَارٌ مِّن لَّبَنٍ لَّمْ يَتَغَيَّرْ طَعْمُهُ وَأَنْهَارٌ مِّنْ خَمْرٍ لَّذَّةٍ لِّلشَّارِبِينَ وَأَنْهَارٌ مِّنْ عَسَلٍ مُّصَفًّى وَلَهُمْ فِيهَا مِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ وَمَغْفِرَةٌ مِّن رَّبِّهِمْ
“মুত্তাকীদেরকে যে জান্নাতের ওয়াদা দেয়া হয়েছে, তার অবস্থা নিম্নরূপঃ
তাতে আছে সচ্ছ পানির নহর,
নির্মল দুধের নহর
যার স্বাদ অপরিবর্তনীয়, পানকারীদের জন্যে
সুস্বাদু শরাবের নহর এবং
পরিশোধিত মধুর নহর। তথায় তাদের জন্যে আছে রকমারি ফল-মূল ও তাদের পালনকর্তার ক্ষমা। (সূরা মুহাম্মদ-১৫)
২৪. উপসংহার
প্রিয় হাজেরীন! মুত্তাকী মানব জীবনের এমন এক মহত গুণ, যা মানুষকে যাবতীয়
খারাপ কাজ থেকে রক্ষা করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ সুগম করে। যে ব্যক্তি মুত্তাকী
বা তাকওয়াবিহীন জীবন যাপন করে সে যেকোন ধরনের পাপ কাজ করতে পারে। ফলে দুনিয়ার জীবনে
লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়। আখিরাতে তাকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
২৫. শেষ করছি কুরআনের সেই বাণীটি দিয়ে
যাতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَسَارِعُوا إِلَى مَغْفِرَةٍ مِنْ رَبِّكُمْ
وَجَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ أُعِدَّتْ لِلْمُتَّقِينَ
তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা লাভের প্রতি দ্রুত ধাবিত হও এবং সে জান্নাতের প্রতি যার আয়তন আসমান ও পৃথিবীর সমান। যা মুত্তাকীদের জন্য তৈরী করা হয়েছে। (সূরা আলে-ইমরারন-১৩৩)
সুতরাং দুনিয়ার শাস্তি ও আখিরাতে মুক্তির জন্যে মুক্তাকী হওয়া অপরিহার্য। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে প্রকৃত মুত্তাকী হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমিন!!
No comments:
Post a Comment
razzakhowlader59@gmil.com