"ঈদে
মিলাদুন্নবী'' কি কোন
ধর্মীয় অনুষ্ঠান?
এম এ রাজ্জাক হাওলাদার
"ঈদে মিলাদুন্নবী'' কি কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ? মনে রাখতে হবে "ইসলামে ২টি ঈদ ছাড়া ৩য় কোন ঈদ নেই" এবং কিভাবে এ বিদআত চালু হলো আমাদের সমাজে ? সংক্ষিপ্ত ভাবে নিম্মে আলোচনা কর। ইনশাআল্লাহ।
ঈদে
মিলাদুন্নবী পরিচিতি:
ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (আরবি: مَوْلِدُ النَبِيِّ মাওলিদুন নাবী, আরবি: مولد النبي
মাওলিদুন নাবী, কখনো কখনো সহজ
ভাবে বলা হয় مولد মাওলিদ, মুলুদ আরো অসংখ্য উচ্চারণ, ميلاد (মীলাদ) হচ্ছে শেষ নবীর জন্মদিন হিসেবে
মুসলমানদের মাঝে পালিত একটি উৎসব। (উইকিপিডিয়া এবং এহইয়াউস সুনান-৫১৭ পৃষ্ঠা)
মীলাদ এর
অর্থ:
মাওলিদ এর অর্থ হলো, জন্মস্থান, জন্মের সময়, জন্মদিন, জন্ম তারিখ। (আল মুজামুল ওয়াফি-১০৫৬ পৃষ্ঠা)
ইবনুল মানজুর বলেছেন, মাওলিদ হচ্ছে, اسم الوقت الذي ولد فيه (এটা হলো জন্মের সময়)। (লিসানুল আরব-৩/৪৬৮)
কবে
পালিত হয় ঈদে মীলাদুন্নবী ?
হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল এর ১২
তারিখে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশি মুসলমানরা এই দিনকে ঈদে মিলাদুন্নবী বলে
অভিহিত করেন। অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের কাছে এই দিন "নবী দিবস"
নামে পরিচিত। (উইকিপিডিয়া)
রাসূল
(স.)-এর জন্ম দিন, জন্ম মাস
এবং জন্ম সাল কবে?
১. তাঁর জন্ম সোমবারে হাদীসে এসেছে,
ذاك يوم ولدت فيه و يوم بعثت او
انزل علي فيه
সোমবারে আমার জন্ম এবং সোমবারই আমার ওপর অহী
নাযিল হয়েছে ফলে নবী হিসেবে আমি সোমবারে আত্ন প্রকাশ। (মুসলিম-২৬৩৭; মুসনাদে আহমদ-২৫০৬,৮৩৪৩)
২. হাতীর বছরে তাঁর জন্ম:
ولد رسول الله صلي الله عليه وسلم عام الفيل
রাসূল (স.) হাতীর বছরে জন্ম নেন। (তিরমিজী-৩৬১৯, দূর্বল হাদীস)
৩. জন্ম মাস এবং জন্ম তারিখ হাদীসে নেই। (এহইয়াউস সুনান-৫১৯ পৃষ্ঠা)
৪.তাঁর জন্ম মাস ও তারিখ নিয়ে ১২টি মত
রয়েছে আলিম গণের মতে তন্মধ্যে ১টি হলো ১২ রবীউল আউয়াল। (এহইয়াউস সুনান-৫১৯ থেকে ৫২১ পৃষ্ঠা)
৫. সুনির্দিষ্টভাবে রাসূল (স.)-এর জন্মের তারিখ পাওয়া যায়নি সেখানে সুনির্দিষ্ট দিনে ঈদে মিলাদুন্নবী কিভাবে হতে পারে? রাসূল (স.) নিজে বা তাঁর সাহাবীগণ যদি তাঁর জন্মদিনে কোন প্রকার "ঈদ" পালন করতেন তাহলে দিবসটি হাদীসে ব্যাপকভাবে আলোচিত হতো। অথচ কুরআন, দূর্বল হাদীসে কোথাও এর দলীল নেই। (প্রচলিত বিদআত এবং তা থেকে বাঁচার উপায়-৫৬ পৃষ্ঠা)
রাসূল (স.)-এর
জন্মদিন পালন:
১. আল কুরআন করীমে রাসূল (স.)-এর জন্ম, জন্ম সময়, জন্ম দিবস পালন সম্পর্কে কোন বর্ণনা নেই।
(এহইয়াউস সুনান ৫১৭ এবং সুন্নাত ও বিদআত ২৬৭ পৃষ্ঠা)
২. প্রতি বছর অতীব ধূমধামের সাথে ১২ রবীউল
আউয়াল এর "ফাতিহা দোয়াজ দাহাম" নামের জাতীয় উৎসব হিসেবে পালন যে সুস্পষ্ট ভাবে
বিদআত তাতে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না। এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদেরকে রাসূল (স.)
বড় অনুসারী হিসেবে জাহির করে জনগণকে ধোঁকা দেয়া শুধু বিদআত-ই নয়, বিদআতের চেয়েও বড় ধৃষ্টতা এতে সন্দেহ নেই। (সূত্র: সুন্নাত ও বিদআত-২৬৭ পৃষ্ঠা)
৩. রাসূল (স.)-এর জন্মের দিনটি অবশ্যই
সম্মানিত ঠিক কিন্তু এটাকে পালন ইবাদাত হিসেবে এ উপলক্ষে বিশেষ মাহফিলের আয়োজন
করা আল কুরআন এবং হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। (ইসলামী দিবস সমূহ ১২ চাঁন্দের
ফযীলত-১৬০)
৪. ইসলামে "ঈদে মিলাদুন্নবী" নামে আরেকটি নূতন ঈদের
সংযোজন দ্বীনের মধ্যে প্রবৃদ্ধির শামিল। রাসূল (স.) তাঁর জীবনে কোনদিন এবং
সাহাবীগণ জীবনে কেউ কোনদিন তাঁর জন্মদিন পালন করেননি। শুধুমাত্র আবেগের বশবর্তী
হয়ে সে "ঈদকে" শ্লোগান দেয়া হয় "সকল ঈদের সেরা ঈদ, ঈদে মীলাদুন্নবী"। (সূত্র: প্রচলিত বিদআত এবং তা থেকে বাঁচার উপায় ৫৬
থেকে ৫৭ পৃষ্ঠা)
৫. রাসূল (স.) ওফাত ছিল সর্বজন জ্ঞাত। সেটা হলো
১১ হিজরীর ১২ রবীউল আউয়াল মাসে।
فلما كان اليوم الذي مات فيه اظلم منها كل شيء
রাসূল (স.) যেদিন মৃত্যুবরণ করেন, সেদিন সবকিছু অন্ধকারে ছেয়ে গিয়েছিল। (তিরমিজী-৩৬১৮, সহীহ হাদীস)
আনাস (রা:) বলেছেন,
وما رايت يوما اقبح ولا اظلم من يوم مات فيه رسول الله صلي الله
عليه وسلم
রাসূল (স.)-এর মৃত্যু দিবসের মত অন্ধকার এবং
বিষাদময় দিবস আমি জীবনে আর দেখিনি। (মুসনাদে আহমাদ-১৪০৬৩)
৬. কাজেই ১২ রবীউল আউয়াল সাহাবীদের কাছে ছিল
এক চরম বিষাদ, অন্ধকার, দুঃখ আর কষ্টের দিন সে দিনটিকে ‘‘ঈদে মীলাদুন্নবী’’
পালনের নামে আনন্দ উৎসব পালন কতবড় আহম্মক এর কান্ড! রাসূল (স.) নিশ্চিত মৃত্যু
দিবসে অনিশ্চিত জন্ম মনে করে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন মৃত্যু দিনে উৎসব করার শামিল। (প্রচলিত
বিদআত এবং তা থেকে বাঁচার উপায় ৫৬-৫৭ পৃষ্ঠা)
৭. রাসূল (স.) সোমবারে সাওম পালন করতেন
সেখানে এসব রাসূল প্রেমের মিথ্যা দাবীদার ভন্ডরা গরু জবাই করে ভুরিভোজ করে।
(প্রচলিত বিদআত এবং তা থেকে বাঁচার উপায়-৫৭ পৃষ্ঠা)
ঈদে মিলাদুন্নবী কিভাবে চালু হলো আমাদের সমাজে ?
১. রাসূল (স.) জন্ম দিন সাহাবী, তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ীর
এর যুগে প্রচলন ছিলনা। (এহইয়াউস সুনান ৫২১ থেকে ৫২৩ পৃষ্ঠা)
২. দু ঈদের বাইরে কোনো দিনকে সামাজিকভাবে
উদযাপন শুরু হয় হিজরী ৪র্থ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে "শিয়াদের" উদ্যোগে।
৩. সর্বপ্রথম ৩৫২ হিজরীতে (৯৬৩ খ্রি.)
বাগদাদের আব্বাসী খলিফার প্রধান প্রশাসক ও রাষ্ট্রের প্রধান নিয়ন্ত্রক বনী
বুয়াইহির শিয়া শাসক "মুইজ্জুদ্দৌলা" ১০-ই মহররম আশুরাকে শোক দিবস ও
জিলহজ্ব মাসের ৮ তারিখ “গাদীর খুম” দিবস ঈদ ও উৎসব দিবস হিসাবে পালন করার
নির্দেশ দেন। তার নির্দেশে উক্ত ২ দিবস সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সাথে পালন
করা হয়। যদিও শুধুমাত্র শিয়ারাই এ ২ দিবস পালনে অংশগ্রহণ করেন, তবুও তা
সামাজিকরূপ গ্রহণ করে। কারণ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার ফলে আহলুস সুন্নাত ওয়াল
জামায়াতের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ প্রথম বছরে এ উদযাপনে বাধা দিতে পারেননি। পরবর্তী
যুগে যতদিন শিয়াদের প্রতিপত্তি ছিল এ ২ দিবস উদযাপন করা হয়, যদিও তা মাঝে
মাঝে শিয়া-সুন্নী ভয়ঙ্কর সংঘাত ও গৃহযুদ্ধের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
(এহইয়াউস সুনান ৫২৩ থেকে ৫২৪ পৃষ্ঠা এবং আল
বিদায়া ওয়ান নিহায়া-১১/৪৪১)
৪. ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করার ক্ষেত্রেও
শিয়াগণ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। উবাইদ বংশের রাফেযী ইসমাঈলী শিয়াগণ ফাতেমী বংশের
নামে আফ্রিকার উত্তরাংশে রাজত্ব স্থাপন করে।
[বিস্তারিত
দেখুনঃ মাহমুদ শাকির, আত তারিখুল
ইসলাম:৬/১১১-১১২]
৫.এই দুই শতাব্দীর শাসনকালে মিশরের ইসমাঈলী
শিয়া শাসকগণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ২ ঈদ ছাড়াও আরো বিভিন্ন দিন পালন করত, তন্মধ্যে
অধিকাংশই ছিল জন্মদিন। তারা অত্যন্ত আনন্দ, উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ৭টি জন্মদিন পালন করত:
১। রাসুলে আকরাম (স.)-এর জন্মদিন, ২।আলী (রা)-এর জন্মদিন, ৩।ফাতিমা(রা)-এর
জন্মদিন, ৪।হাসান (রা)-এর জন্মদিন, ৫।হুসাইন(রা)-এর
জন্মদিন, ৬।তাদের জীবিত খলিফার জন্মদিন ও ৭। ঈসা (আ.-এর
জন্মদিন(বড়দিন বা ক্রিসমাস)।
[আল মাকরিযী, আহমাদ বিন আলী, আল মাওয়ারিজ ওয়াল ইতিবার বি যিকরিল খুতাতি
ওয়াল আসার ৪৯০-৪৯৫ পৃষ্ঠা]
৬.আহমদ ইবনু আলী আল-কালকাশান্দী (৮২১ হি.)
লিখেছেন: “রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে ফাতেমী শাসক
মিলাদুন্নবী উদযাপন করতেন। তাদের নিয়ম ছিল যে, এ উপলক্ষে বিপুল পরিমাণে উন্নত মানের
মিষ্টান্ন তৈরি করা হতো। এই মিষ্টান্ন ৩০০ পিতলের খাঞ্চায় ভরা হতো। মিলাদের
রাত্রিতে এই মিষ্টান্ন সকল তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীলদের মধ্যে বিতরণ করা
হতো। যেমন- প্রধান বিচারক, প্রধান শিয়া মত প্রচারক, দরবারের
কারীগণ, বিভিন্ন মসজিদের খতীব ও প্রধানগণ, ধর্মীয়
প্রতিষ্ঠানাদির ভারপ্রাপ্ত কর্ম কর্তাগণ। এ উপলক্ষে খলিফা প্রাসাদের সামনের
ব্যালকনিতে বসতেন। আসরের নামাযের পরে বিচারপতি বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তাদের সঙ্গে
আজহার মসজিদে[তখন এটি শিয়াদের হাতে ছিল] গমন করতেন এবং সেখানে এক খতম কুরআন
তিলাওয়াত পরিমাণ সময় বসতেন। মসজিদ ও প্রাসাদের মধ্যবর্তী স্থানে অভ্যাগত পদস্থ
মেহমানগণ বসে ফাতেমী শিয়া খলিফাকে সালাম প্রদানের জন্য অপেক্ষা করতেন। এ সময়ে
ব্যালকনির জানালা খুলে হাত নেড়ে তিনি তাদের সালাম গ্রহণ করতেন। এরপর কারীগণ কুরআন
তিলাওয়াত করতেন এবং বক্তাগণ বক্তৃতা প্রদান করতেন। বক্তৃতা অনুষ্ঠান শেষ হলে
খলিফার সহচরগণ হাত নেড়ে সমবেতদের বিদায়ী সালাম জানাতেন।” [আল-কালকাশান্দী, সুবুহুল আ’শা ৩/৪৯৮-৪৯৯]
৭. এভাবে হিজরী ৪র্থ শতাব্দী থেকেই ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনের শুরু হয়। তবে লক্ষণীয় যে, কায়রোর এই উৎসব ইসলামী বিশ্বের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়েনি। সম্ভবত ইসমাঈলীয় শিয়াদের প্রতি সাধারণ মুসলিম সমাজের প্রকট ঘৃণার ফলেই তাদের এই উৎসব সমূহ অন্যান্য সুন্নী এলাকায় জনপ্রিয়তা পায়নি।সুন্নীদের মাঝে ঈদে মিলাদুন্নবীর প্রবর্তক হচ্ছেন "ইরাকের" "ইরবিল" প্রদেশের শাসক "আবু সাঈদ কূকুবূরী" (৬৩০ হি.)। পরে তা ধীরে ধীরে অন্যান্য অঞ্চলেও চালু হয়ে যায়। সিরাতুন্নবী গবেষক ও ঐতিহাসিকগণ তাকেই মিলাদুন্নবীর প্রকৃত উদ্ভাবক বলে আখ্যায়িত করেছেন।[আস সালেহী, সিরাত শামিয়্যাহ-১/৩৬২]
সারকথা:
আমরা দেখছি যে, আমাদের দেশসহ কিছু মুসলিম দেশে নবী (স.)-এর জন্মদিনের নামে যে ‘ঈদ’ চালু করা
হয়েছে, তার সর্বপ্রথম উদ্ভাবন করেছিল
শিয়ারা।পরবর্তীতে তা সুন্নীদের মাঝে ছড়িয়েছে। প্রচলিত ঈদে
মীলাদুন্নবী এর বিরোধিতায় উলামা হযরত গণ। রাসূল (স.)-এর প্রেম নমুনা।
কোনো কোনো আলেমের মতে হিজরী ৭ম শতাব্দী অর্থাৎ চালু হবার পর থেকেই
ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনের বিরোধিতা করেছেন এই যুক্তিতে যে,
১. সাহাবীগণ, তাবিঈগণ তাঁদের প্রচণ্ডতম নবীপ্রেম সত্ত্বেও
কখনো তাঁদের আনন্দ এভাবে উৎসব বা উদযাপনের মাধ্যমে প্রকাশ করেননি, কাজেই পরবর্তী
যুগের মুসলমানদের জন্যও তা শরিয়ত-সঙ্গত হবে না।
২. পরবর্তী যুগের মুসলমানদের উচিত প্রথম
যুগের মুসলমানদের ন্যায় সার্বক্ষণিক সুন্নাত পালন, সিরাত [নবী (স.)-এর জীবনী] আলোচনা, দরুদ সালাম ও
ক্বলবী ভালবাসার মাধ্যমে মহানবী (স.)-এর প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জানানো, অমুসলিমদের
অনুকরণে জন্মদিন পালনের মাধ্যমে নয়।
৩. এ সকল অনুষ্ঠানের প্রসার সাহাবীদের ভালবাসা, ভক্তি ও আনন্দ প্রকাশের পদ্ধতিকে হেয় প্রতিপন্ন করার মানসিকতা সৃষ্টি করবে, কারণ যারা এ সকল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভালবাসা ও আনন্দ প্রকাশ করবেন, তাঁদের মনে হতে থাকবে যে, সাহাবীদের মতো নিরব, অনানুষ্ঠানিক, সার্বক্ষণিক ভালবাসা ও ভক্তি প্রকাশ পদ্ধতির চেয়ে তাদের পদ্ধতিটাই উত্তম। তাঁদের এ আশঙ্কা বর্তমানকালে সত্যে পরিনত হয়েছে। মিলাদ পালন কারীগণ এই নব উদ্ভাবনকে ‘উত্তম’ ও “আশেকে রাসুলের” কাজ বলে মনে করেন, আর যারা সাহাবী-তাবিঈদের ন্যায় নবী (স.)-এর প্রতি নিরব, অনানুষ্ঠানিক, সার্বক্ষণিক ভালবাসা ও ভক্তি প্রকাশ করেন ও মিলাদ পালন করেন না, তাদেরকে ‘ওহাবী’, ‘গুস্তাখে রাসুল’ ইত্যাদি বলে গালি দেয়।
বিরোধিতা
করে প্রতিবাদ করেছেন যে সব উলামা হযরত:
সেই যুগের এ সকল নিষেধকারীদের মধ্যে রয়েছেন
সপ্তম-অষ্টম হিজরী শতাব্দীর অন্যতম আলেম আল্লামা তাজুদ্দীন উমর ইবনু আলী
আল-ফাকেহানী (৭৩৪ হি.), আল্লামা আবু আব্দুলাহ মুহম্মদ ইবনু মুহম্মদ
ইবনুল হাজ্ব (৭৩৭ হি.), ৮ম হিজরী শতকের প্রখ্যাত আলেম আবু ইসহাক
ইব্রাহীম ইবনু মূসা ইবনু মুহাম্মাদ আশ-শাতিবী (মৃত্যু ৭৯০হি.) ও অন্যান্য উলামায়ে
কেরাম [রহিমাহুমুল্লাহ আজমা’ঈন]।
(বিস্তারিত
জানতে পড়ুনঃ "এহইয়াউস সুনান" ৫১৬ থেকে ৫৬৮ পৃষ্ঠা)।
(আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সহীহ ও সঠিক বুঝ
দান করুন, আমীন)।।
No comments:
Post a Comment
razzakhowlader59@gmil.com