Wednesday, April 19, 2023

মুসলিম এবং মুমিনের মধ্যকার পার্থক্য

 


মুসলিম এবং মুমিনের মধ্যকার পার্থক্য

আরটি-১২২৮৫ এম এ রাজ্জাক হাওলাদার

 মুসলিম/মুসলিমার সাথে মুমিন/মুমিনের মধ্যকার পার্থক্য হলো: মুসলিম হল ইসলাম ধর্মকে নিজ ধর্ম বলে বিশ্বাস  স্বীকার করে এমন ব্যক্তি অপরদিকে মুমিন হল ইসলাম ধর্মকে নিজ ধর্ম বলে বিশ্বাস  স্বীকার করার পাশাপাশি তা নিজের ভেতরে  বাহিরে ধারণ করে এবং সাথেসাথে কঠোরভাবে এর নির্দেশাবলী মেনে চলে এমন ব্যক্তি।

অন্য দিকে মুমিন-মুসলমান ও মুসলমানের মধ্যে কোনো ধরনের পার্থক্য নেই। এটা শুধু আমাদের সমাজের একটি প্রচলিত ব্যবহার। মুমিন ও মুসলিম এ দুটির মধ্যে মৌলিক দৃষ্টিগত পার্থক্য আছে। মুমিন শব্দটি এসেছে মূলত মান শব্দ থেকে। মানের যে দাবি আছে, সেগুলো যিনি পরিপূর্ণরূপে পালন করবেন, তিনি হলেন মুমিন।আর মুসলিম শব্দ এসেছে, ইসলাম শব্দ থেকে। ইসলামের দাবিগুলো যিনি পূরণ করবেন, তিনি হলেন মুসলিম।

সুতরাং যদি আমরা নবী করিম (সা.)-এর হাদীসের দিকে লক্ষকরি তাহলে আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে যে ইসলামের পরিচয় রাসুল (সা.)কীভাবে করেছেন। ইসলামের পাঁচটি মৌলিক ভিত্তির ওপর রাসুল (সা.) ইসলামের পরিচয় করে দিয়েছেন।  তিনি তিনটি ধাপের কথা বলেছেন। যথা:

প্রথম ধাপটি হলো: ইসলামের এই পাঁচটি আরকান যে ব্যক্তি নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করবেন, তিনি হচ্ছেন মুসলিম। এই কাজগুলো অবশ্যই করতে হবে, যদি তিনি নিজেকে মুসলিম হিসেবে প্রকাশ করতে চান।

দ্বিতীয় ধাপটি হলো: মানের ধাপ। বান্দা যখন বাহ্যিকভাবে, প্রকাশ্যে এবং অপ্রকাশ্যে, অন্তরে এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সবকিছুর মাধ্যমে যখন ইসলামকে নিজের দ্বীন হিসেবে মেনে নেবে, তখন তিনি মানকে তাহকিক (তাহকিক ও তাকীদ অর্থ হচ্ছে ক্রিয়াটি বাস্তবে ঘটেছে, এ কথা নিশ্চিত করা) করবেন। মানের যে ছয়টি রোকন বা স্তম্ভ আছে, সেগুলো পরিপূর্ণরূপে মেনে নিতে হবে, বিশ্বাস করতে হবে, কাজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং এর বিপরীতে কোনো কাজ করতে পারবে না। এগুলো সব নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করার নামই হলো মুমিন। এর সামান্যতম একটি অংশ অবমাননা করলে তিনি মুসলিম হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন; কিন্তু মানের গণ্ডিতে তিনি আসতে পারবেন না।

তৃতীয় ধাপ হলো: ইসলাম ও মানের মৌলিক দাবি পূরণ করার পরও বান্দা আল্লাহর যত অধিকার রয়েছে, সেগুলো নিজের জীবনে প্রত্যেকটি পর্যায়ে পালন করবে এবং পরিপূর্ণরূপে নিজেকে আত্মসমর্পণ করবে।

উইকিপিডিয়ায় এসেছে, 

মুমিন একটি আরবি শব্দ, যা মূলত আরবি ঈমান শব্দটি থেকে এসেছে। এর শাব্দিক অর্থ "বিশ্বাসী" এবং এর দ্বারা একজন কঠোরভাবে অনুগত মুসলিমকে বুঝায়, যে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে ইসলামকে নিজের অভ্যন্তরের এবং বাহিরের সকল কর্মকান্ডে ধারণ করে এবং আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার কাছে নিজেকে পূর্ণরুপে সমর্পণ করে নারী মুমিনদের ক্ষেত্রে মুমিনা শব্দটি ব্যবহৃত হয়।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সত্যিকার মুসলিম ও মুমিন হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

No comments:

Post a Comment

razzakhowlader59@gmil.com