পৃথিবীতে একটি মাত্র ইহুদী রাষ্ট্র– ইসরাইল
-এম এ রাজ্জাক হাওলাদার
পৃথিবীতে ই.হু.দী. দের মোট সংখ্যা দেড় কোটির
মত।
একটি মাত্র ইহুদী রাষ্ট্র – ইসরাইল।
ইসরাইলে ইহুদীর সংখ্যা ৫৪লাখ, অবশিষ্ট প্রায় এক কোটি ইহুদী সারা পৃথিবীতে
ছড়িয়ে আছে।
এর মধ্যে আমেরিকাতে ৭০লাখ, কানাডাতে ৪ লাখ আর ব্রিটেনে ৩ লাখ ইহুদী
থাকে।
ই হু দী রা মার্কিন জনসংখ্যার মাত্র ২%, আর পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২%।
অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি ৫০০ জনে একজন ইহুদী!
কিন্তু জনসংখ্যার দিক দিয়ে ঢাকা শহরের
কাছাকাছি হলেও বিশ্বে ইহুদি সম্প্রদায় থেকে যুগে যুগে বেরিয়ে এসেছে অসংখ্য
প্রতিভাবান ব্যক্তি।
প্রধান ধর্মগুলোর পর পৃথিবীতে যে মতবাদটি
সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলেছে সেই কমিউনিজমের স্বপ্নদ্রষ্টা কার্ল মার্কস ইহুদি
সম্প্রদায় থেকে এসেছেন।
বিশ্বের মানুষকে মুগ্ধ করে রাখা যাদু শিল্পি
হুডিনি ও বর্তমানে ডেভিড কপারফিল্ড এসেছেন একই কমিউনিটি থেকে।
এসেছেন আলবার্ট আইনস্টাইনের মত বিজ্ঞানী, যাকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলা হয়
আর প্রফেসর নোয়াম চমস্কি – র মত
শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক যাকে প্রদত্ত ডক্টরেটের সংখ্যা আশিটির ও বেশি।
এর অন্যতম কারণ সাধারণ আমেরিকানরা যেখানে হাইস্কুল
পাশকেই যথেষ্ট মনে করে সেখানে আমেরিকান ইহুদীদের ৮৫% বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া।
আর আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর দৃষ্টান্ত
হচ্ছে এমনঃ ওআইসি-র ৫৭টি দেশে বিশ্ববিদ্যালয় আছে পাঁচ হাজারের মত, আর এক আমেরিকাতেই বিশ্ববিদ্যালয় আছে প্রায়
ছয় হাজার এর কাছাকাছি।
ওআইসি ভুক্ত দেশগুলোর একটা বিশ্ববিদ্যালয়ও
যেখানে The World University Ranking সাইট এর প্রথম ১০০টা বিশ্ববিদ্যালয়েরর মধ্যে
স্থান পায়নি, সেখানে প্রথম
একশোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে আমেরিকার ৪৫টা বিশ্ববিদ্যালয়।
(১ম দশটার মধ্যে সাতটা)
যেখানে প্রথম ২০০ র মধ্যে ওআইসি-ভুক্ত ৫৭ টি
মুসলিম দেশের একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে তুরস্কের Bogazici
University (১৯৯ তম)
সেখানে আমেরিকার বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়
গুলোর ২০% স্টুডেন্টস ইহুদী সম্প্রদায় থেকে আসা।
আমেরিকান নোবেল বিজয়ীদের মোটামুটি ৪০% ইহুদী
অর্থাৎ নোবেল বিজয়ী প্রতি চার থেকে পাঁচ জনের একজন ইহুদী।
আমেরিকার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসররা
ইহুদী।
আমেরিকার উত্তর পূর্ব উপকূলের ১২ টি বিখ্যাত
বিশ্ববিদ্যালয়কে এক সাথে আইভি লীগ বলা হয়।
২০০৯ সালের ১টি জরিপে দেখা গেছে আইভি লীগ
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক'জন ভিসি-ই
ইহুদী।
হতে পারে ইহুদীরা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার ২
শতাংশ, কিন্তু
আমেরিকান রাজনীতিতে তাদের প্রভাব একচেটিয়া। আমেরিকার ১০০ জন সিনেটরের ১৩ জন
ইহুদী।
এর চেয়ে ভয়ংকর তথ্য হল ইহুদীদের সমর্থন
ব্যতীত কোন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হতে পারেনা, কোন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেনা।
এই দেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব যতখানি-
আমেরিকান রাজনীতিতে ইহুদীদের প্রভাব তার চেয়েও অনেক অনেক বেশি।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্বাচনী
ফাণ্ড বা তহবিল সংগ্রহ একটা বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ। বারাক ওবামা বা ক্লিনটন নিজের
টাকায় প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না। ডোনেশান এবং পার্টির টাকায় তাদের নির্বাচনী
ব্যয় মিটাতে হয়েছে। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী
ফাণ্ড দাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে – AIPAC – America Israel Public Affairs
Committee
আমেরিকার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংকসহ
গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকগুলো ইহুদীদের দখলে। ফলে আমেরিকার কেউ চাইলেও এদের কিছু করতে
পারবে না। বরং জুইশ কমিউনিটি বা ইহুদি সম্প্রদাকে হাতে না-রাখলে ক্ষমতায় টেকা
যাবে না। এসব কারণে শুধু জুইশ কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ক্ষমতাসীন মার্কিন
প্রেসিডেন্টে প্রশাসনের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে যেতে
হয়।
মিডিয়া জগতে যদি আপনি তাকান তাহলে দেখবেন;
CNN, AOL, HBO, Cartoon
Network, New line cinema, Warner Bross, Sports illustrated, People - Gerald
Levin – ইহুদী মালিক
নিয়ন্ত্রিত।
ABC, Disney Channel, ESPN,
Touchstone pictures - Michael Eisner – ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।
Fox Network, National
Geographic, 20th century Fox Rupert Murdoch – ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।
Top 4 famous Newspapers
of USA & their editors
New York Times – Arthur
Sulzberger
New York Post – Rupert
Murdoch
Washington Post – K.M.
Graham
Wall street journal –
Robert Thomson
সব কয়টি খবরের কাগজ ই ইহুদী মালিক
নিয়ন্ত্রিত।
আপনার প্রিয় মিডিয়া ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা Mark
Zuckerberg পর্যন্ত একজন
ইহুদী।
ওয়াটারগেট কেলেংকারীর জন্য প্রেসিডেন্ট
নিক্সনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলো ওয়াশিংটন পোষ্ট। এর বর্তমান সিইও ডোনাল্ড
গ্রেহাম ইহুদি মালিকানার তৃতীয় প্রজন্ম হিসেবে কাজ করছেন। উগ্রবাদী ইহুদী হিসেবে
তিনি পরিচিত। ওয়াশিংটন পোষ্ট আরও অনেক পত্রিকা প্রকাশ করে। এর মধ্যে আর্মিদের
জন্যই করে ১১টি পত্রিকা। এই গ্রুপের আরেকটি সাপ্তাহিক পত্রিকা পৃথিবী জুড়ে
বিখ্যাত। টাইম এর পরে বিশ্বের দ্বিতীয় প্রভাবশালী এই সাপ্তাহিক পত্রিকাটির নাম
নিউজউইক।
প্রিয় পাঠক, এবার প্রশ্ন হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের ৩২টা
দেশের ৩২ × ২৩ জন
খেলোয়াড়ের কতজন ইহুদী???
উত্তর হচ্ছে – একজন ও না।
অথবা আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১০টা দেশের
১০× ১৫ জন খেলোয়াড়ের কতজন ইহুদী????
যদি প্রশ্ন করা হয় পৃথিবীর বেস্ট ১০০ জন
ফুটবলারের কতজন ইহুদী? কিংবা পৃথিবীর
বেস্ট ১০০ জন ক্রিকেটারের কতজন ইহুদী?
উত্তর হচ্ছে – একজন ও না।
কেন?
বছরের কিছু সময় টি টুয়েন্টি আর ফ্ল্যাশ মব, কিছু সময় আইপিএল আর চিয়ার্স লিডার, কিছু সময় ফিফা বিশ্বকাপ বা আইসিসি ক্রিকেট
বিশ্বকাপ, বাকি সময়
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ আর স্প্যানিশ প্রিমিয়ার লীগ বা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ নিয়ে
ব্যস্ত থাকা আমাদের মনের মধ্যে কী কখনো এই প্রশ্ন আসেনা?
হ্যাঁ, প্রশ্ন আসেনা বলেই আপনি আমি আজ বসবাসের জন্য
পৃথিবীর সবচেয়ে অযোগ্য শহরের বাসিন্দা। এই প্রশ্নগুলো আমাদের আসেনা বলেই আমরা এমন
একটা দেশের নাগরিক যে দেশের নাম নেইমার মেসিরা শুনেই নি, যে দেশকে ভিক্ষুকের দেশ হিসেবে পৃথিবী চিনে, কিংবা মধ্যপ্রাচ্যে চিনে মজুর আর কাজের
বুয়ার দেশ হিসেবে, যে দেশটি
আন্তর্জাতিক ভাবে টানা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের রেকর্ড গড়ে।
আমার লেখার এটুকু পড়েই অনেকের উত্তর শোনার
গরজ থাকার কথা না, তবু উত্তরটা
দিয়ে দেই, কেন ইহুদীরা
ফুটবল ক্রিকেটে এত পিছিয়ে।
একটা ফুটবলের ব্যাস হয়ত ২০–৩০ সে.মি. বা একটা ক্রিকেট বলের ব্যাস আর ও
কম হয়ত ১০ – ১২ সে.মি.।
ইহুদীরা বিশ্ববাসীকে ১০– ৩০ সেন্টিমিটারের ক্রিকেট, ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত রেখে নিজেরা ১২,৮০০ কিলোমিটার ব্যাসের বেশ বড় একটা ফুটবল
নিয়ে খেলছে – আর এই বড়
ফুটবলটাই হচ্ছে পৃথিবী।
অবশ্য পরিশেষে তারা ভয়ানকভাবে ধ্বংস হবে।
সংগৃহীত।

No comments:
Post a Comment
razzakhowlader59@gmil.com